5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায় ও ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া
5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায় এই সম্পর্কে অনেকেই google এ সার্চ করে থাকেন,
কিন্তু কোথাও সঠিক তথ্য পান না। এজন্য আপনাদের কথা চিন্তা করেই আমরা আজকে পুরো
আর্টিকেলটিতে 5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায় ও ৫০০০ টাকায় কোন কোন ব্যবসা করা
যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আর্টিকেল সূচিপত্র ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা কিভাবে করা যায় এবং কোন
কোন ব্যবসা ৫০০০ টাকা দিয়েই শুরু করা যায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
তাই 5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায় কিনা সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলটি
প্রতিটি অংশ স্টেপ বাই স্টেপ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায় সম্পর্কে বিবরণ
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে ব্যবসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে, তার অন্যতম কারণ
হলো মানসম্মত চাকরি না পাওয়া। অনেকে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির খোঁজ করে
থাকে কিন্তু সহজে চাকরি পায় না। যার ফলে তারা ব্যবসার দিকে ধাবিত হয়। তবে
যাদের পুঁজি কম তারা অনেকেই মনে করে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করা যায় না,
তবে আমি বলব আপনি সামান্য ৫০০০ টাকা দিয়েই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। মাত্র ৫০০০
টাকা পুঁজি হলেই বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যায়। তাই অযথা চাকরির
খোঁজ করে সময় নষ্ট না করে অল্প পুজি থাকলে ব্যবসা শুরু করুন। বর্তমানে চাকরির
বাজার প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে, যার কারণে সকলের পক্ষে চাকরি পাওয়া সম্ভব
হচ্ছে না। এজন্য আমার মতে চাকরি থেকে ব্যবসা করলে বেশি টাকা ইনকাম করা
সম্ভব।
আপনি যদি ভালো একটা মাসিক ইনকাম করতে চান তাহলে হয় ব্যবসা শুরু করতে পারেন।5000
টাকায় কি ব্যবসা করা যায় এ বিষয়টি সম্পর্কে অনেকের ভালোমতো ধারণা নেই তাই আমরা
আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এছাড়াও ৫ হাজার
টাকায় ব্যবসা কি কি করা যায় সেই সম্পর্কেও জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা
করব।
5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায়?
আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো মনে করে থাকেন ব্যবসা করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন
হয় বা বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয়, তবে আপনাদের এই চিন্তা ভাবনা মোটেই ঠিক না।
কারণ বর্তমানে ডিজিটাল যুগ হওয়ার কারণে এখন আর ব্যবসা করতে বেশি অর্থের প্রয়োজন
হয় না। আপনি অল্প পুঁজি দিয়েই খুব সহজে ভালো একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে
পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ফ্রী লটারি খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়
সামান্য পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে ভালো অর্থ উপার্জন করা
যায়। অনেকেই মনে করতে পারেন ৫ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায় না,
এটা তাদের ভুল ধারণা। আপনার পরিশ্রম করার মনোবল ও মানসিকতা থাকলে যেকোন ব্যবসাতেই
সফল হওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
ব্যবসা করতে হলে বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না, তবে প্রয়োজন হয় পরিশ্রম ও কৌশল
ব্যবহার করে ব্যবসা করার পরিকল্পনা। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন 5000
টাকায় কি ব্যবসা করা যায়? সম্পর্কে। আমি নিম্নে কিছু ৫ হাজার
টাকায় ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। 5000 টাকায় কি কি ব্যবসা করা যায় তা নিম্নে দেখানো হলোঃ
- হ্যান্ডমেড গহনা ও কারুশিল্প
- ঘরে তৈরি খাবার বা স্ট্রিট ফুড ব্যবসা
- অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা
- মোমবাতি ও সাবান তৈরি
- হ্যান্ড পেইন্টেড টি-শার্ট বা কাপড় বিক্রি
- সবজি চাষ করে ইনকাম
- গিফট প্যাকেজিং বা কাস্টমাইজড উপহার বিক্রি
- ফ্রিল্যান্স সার্ভিস
- মাছ চাষ করে উপার্জন
- ফুচকা ও চটপটি ব্যবসা
- ড্রাই ফ্রুটস প্যাকেজিং ও বিক্রি
- দর্জির দোকান দিয়ে ব্যবসা
- কাপড়ের ব্যাগ বা টোট ব্যাগ তৈরি
- গাছের চারা ও পট প্লান্ট বিক্রি
- চা-নাস্তা কর্নার
- মোবাইল ফোন কভার ও এক্সেসরিজ বিক্রি
- অনলাইন পণ্য ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা
- প্রাইভেট সেন্টার খুলে ব্যবসা
উপরে উল্লেখিত সকল ব্যবসা গুলো ৫০০০ টাকা দিয়েই শুরু করতে পারবেন। যাদের বাজেট
কম এবং অল্প পুজিতে ব্যবসা শুরু করতে চান তারা উপরে উল্লেখিত ব্যবসা গুলো করতে
পারেন। আমরা উপরের লিস্টে অনেকগুলো ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে তুলে
ধরা হয়েছে, আপনার যেই ব্যবসাটি পছন্দ হবে সেই ব্যবসাটি শুরু করুন।
৫ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া
5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায় বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই উপরের অংশটিতে বিস্তারিত
জানিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও উপরের পাঠে 5000 টাকায় ব্যবসা কি কি করা যায়
সেগুলো সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। 5000 টাকা দিয়ে আপনি বিভিন্ন
ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন,
আমরা এমন কিছু ব্যবসার আইডিয়া জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব যেগুলো অনুসরণ করে
আপনি ব্যবসা শুরু করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে ব্যবসায় সফল হতে হলে
অবশ্যই সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রম দিয়ে কাজ করতে হবে।
পরিশ্রম ছাড়া জীবনে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়, তাই আপনার পুঁজি যতই বেশি হোক
কিনা আপনি যদি পরিশ্রম না করেন তাহলে কখনোই ব্যবসা থেকে পরিমাণ মত টাকা উপার্জন
করতে পারবেন না। নিম্নে ৫০০০ টাকায় ব্যবসার আইডিয়াগুলো তুলে ধরা হলোঃ
হ্যান্ডমেড গহনা ও কারুশিল্প
৫০০০ টাকায় ছোট পরিসরে কিছু লাভজনক ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। এর মধ্যে হাতের তৈরি
গহনা ও কারু শিল্প অন্যতম। আপনার যদি হাতের কাজ করার বিশেষ দক্ষতা থাকে তাহলে
বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প, হাতে তৈরি গয়না ও ঘর সাজানোর জিনিসপত্র তৈরি করে
বিক্রয় করতে পারেন।
এ ধরনের ব্যবসা করে ভালো লাভবান হতে পারবেন। অল্প টাকা দিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু
করা যায়। হ্যান্ডমেড গহনা সহ কাস্টমাইজ মগ, কাস্টমার চিরুনি ইত্যাদি
জিনিসপত্রগুলো বানিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ধরনের হাতের তৈরি
জিনিসপত্রগুলোর চাহিদা বেশি হয়ে থাকে।
কম খরচেই উপকরণগুলো ক্রয় করতে পারবেন, আপনি পাইকারি বাজার থেকে সকল সরঞ্জাম
উপকরণগুলো স্বল্প দামে ক্রয় করে হ্যান্ডমেড বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র বানিয়ে
ব্যবসা করতে পারেন।৫ হাজার টাকায় ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ
করেছে।
ঘরে তৈরি খাবার বা স্ট্রিট ফুড ব্যবসা
স্বল্প পুঁজিতে ছোটখাটো স্ট্রিট ফুড ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি ৫০০০
টাকা দিয়ে করা যাবে। যাদের পুজি কম তারা এ ব্যবসাটি সহজেই করতে পারবে। আপনি ঘরে
বসে খাবার তৈরি করে সেগুলো বিক্রয় করে ব্যবসা করতে পারেন।
বর্তমানে ঘরে তৈরি করা খাবারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও স্ট্রিট ফুড ব্যবসা
শুরু করতে পারেন,স্ট্রিট ফুড যেমন ঃ ফুচকা, চটপটি, স্যান্ডউইচ,
পাটিসাপটা, বার্গার, গ্রিল ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি চাইলে বাড়িতে বসে বিভিন্ন
ধরনের আকর্ষণীয় আচার তৈরি করে বিক্রয় করতে পারেন।
বর্তমানে অনেকে রয়েছে যারা বাড়িতে বানানো আচার খেতে পছন্দ করে থাকে। আর আপনার
যদি আচার তৈরি করার বিশেষ দক্ষতা থাকে তাহলে আচার বানিয়ে ভালো ধরনের ব্যবসা গড়ে
তুলতে পারেন। পাশাপাশি ফুড বিক্রি করেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা
মাত্র ৫০০০ টাকা দিয়েই অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা শুরু করা যায়। বিভিন্ন অনলাইন
প্লাটফর্ম থেকে কম দামে পণ্য কিনে এনে একটু বাড়তি লাভে বিক্রয় করে ভালো ধরনের
ব্যবসা শুরু করা যায়। এই ব্যবসা করে প্রথমদিকে হয়তো বেশি টাকা উপার্জন নাও হতে
পারে।
তবে ধীরে ধীরে ব্যবসায় পুঁজি বাড়াতে থাকলে তখন বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আপনি ফেসবুক , ইনস্টাগ্রাম ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে কম দামে পণ্য কিনে এনে
সামান্য একটু লাভ নিয়ে বিক্রয় করবেন। এভাবে কোয়ালিটি ভালো রেখে রিসেলিং ব্যবসা
করলে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়।
অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা করার জন্য অনলাইন স্টোর খোলার প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে
আপনার অনলাইন স্টোরটি সামান্য কিছু টাকা খরচ করে প্রমোশন করতে হবে। এভাবে অনলাইনে
রিসেলিং ব্যবসা করে লাভজনক ব্যবসা গড়ে তোলা যায়।
মোমবাতি ও সাবান তৈরি
আপনি ঘরে বসেই কাস্টমাইজ মোমবাতি ও সাবান তৈরি করে বিক্রয় করে ব্যবসা করতে
পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাস্টমাইজ মোমবাতির প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে
জন্মদিন পালনে কেক কাটার সময় কাস্টমাইজ মোমবাতির প্রয়োজন হয়ে থাকে।
এজন্য কাস্টমাইজড মোমবাতির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনার যদি কাস্টমাইজড মোমবাতি
বানানোর দক্ষতা থাকে তাহলে ঘরে বসেই এই মোমবাতি বানিয়ে মাত্র ৫ হাজার টাকা দিয়ে
ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
তাছাড়া ও ঘরে বসে হাতে তৈরি সাবান বানিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। আপনি স্বল্প খরচে
মোমবাতি বানানোর সরঞ্জাম গুলো ক্রয় করতে পারবেন। বাজার থেকে পাইকারি দামে
উপকরণগুলো ক্রয় করুন আর মাত্র ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করুন।
হ্যান্ড পেইন্টেড টি-শার্ট বা কাপড় বিক্রি
টি-শার্ট বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করে বিক্রয় করা যায়, এই ব্যবসাটি বর্তমানে অধিক
জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আর কম টাকায় এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। আপনার যদি ডিজাইন
করার দক্ষতা থাকে তাহলে টি-শার্টে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করে অর্থ উপার্জন করতে
পারেন।
ডিজাইন করার জন্য উপকরণ প্রয়োজন হবে, বিশেষ করে প্রিন্টিং করার জন্য মেশিন
প্রয়োজন। তবে যেহেতু প্রিন্টিং মেশিন এর দাম বেশি ,সেক্ষেত্রে আপনি শুধুমাত্র
টি-শার্টের ডিজাইন করে সেটি প্রিন্টিংয়ের দোকানে গিয়ে টি-শার্টে ডিজাইনটি
প্রিন্ট করিয়ে নিতে পারেন।
এভাবে অনেকেই শুধুমাত্র ডিজাইন করেই টি-শার্টে প্রিন্ট করে কাপড় বিক্রি করে ভালো
লাভজনক ব্যবসা করছে। স্বল্প পরিসরে পাঁচ হাজার টাকাতেই এই ব্যবসাটি করা
যাবে। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইনের দক্ষতা থাকলে দেরি না করে এখনই ব্যবসাটি শুরু
করুন।
সবজি চাষ করে ইনকাম
বাজারে যেসকল সবজির চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেই সকল সবজিগুলো আপনি চাষ করতে পারেন।
এতে করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনার বাড়ির আশেপাশে ফাঁকা জায়গা থাকলে
সেখানেই আপনি সবজি চাষ করতে পারেন। তাছাড়াও জমি না থাকলে বাড়ির ছাদে টবে সবজি
গাছ লাগিয়ে চাষ করা যায়।
সামান্য কিছু টাকা খরচ করে টব ক্রয় করে সবজি চাষ শুরু করতে পারেন। আর পাইকারি
দামে সবজির চারাগুলো ক্রয় করবেন এবং সঠিক পরিচর্যা করলেই সবজি গাছ দ্রুত বড়
হয়ে ওঠে আর খুব সহজেই সবজি বিক্রি করে ভালো অর্থ উপার্জন করা যায়। 5000
টাকায় কি ব্যবসা করা যায় এর মধ্যে সবজি চাষ আমার কাছে সেরা মনে
হয়েছে।
গিফট প্যাকেজিং বা কাস্টমাইজড উপহার বিক্রি
৫ হাজার টাকায় ব্যবসা সমূহের মধ্যে আরেকটি জনপ্রিয় ব্যবসা হল গিফট প্যাকেজিং ও
কাস্টমাইজ উপহার বিক্রি। ৫০০০ টাকা খরচ করে উপকরণগুলো ক্রয় করে গিফট প্যাকেজিং ও
কাস্টমাইজ উপহার বানিয়ে ব্যবসা শুরু করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে গিফট প্যাকেজিং ও
উপহার কাস্টমাইজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।
কিভাবে উপহার আকর্ষণীয় করা যায় এবং ভালোভাবে গিফট প্যাকেজিং করা যায় সেই
সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে তাহলে এই ব্যবসাটি করে সফল হওয়া যাবে। জন্মদিন,
বিয়ে, এবং উৎসব উপলক্ষে কাস্টমাইজড গিফট প্যাকেজ বানাতে পারেন, বিশেষ
করে গিফট বক্স, শুভেচ্ছা কার্ড, ক্যান্ডেল, ফুলের মালা ইত্যাদি কাস্টমাইজ
করতে পারেন।
আপনার এই ব্যবসাটি প্রচার করার জন্য অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে, অনলাইনে
প্রমোশনের মাধ্যমে গিফট প্যাকেজিং ব্যবসাটিতে সফল হওয়া যাবে। মূলত
গ্রাহকদের কাছে আপনার সেবাটি পৌঁছে দিতে হবে তাহলেই মাত্র ৫০০০ টাকা দিয়ে এই
ব্যবসাটি করে লাভবান হওয়া যাবে।
ফ্রিল্যান্স সার্ভিস ব্যবসা
ফ্রিল্যান্সিংজনিত কোন বিষয়ে দক্ষতা থাকলে সেই বিষয়টি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
সার্ভিস প্রদান করতে পারেন। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচুর চাহিদা রয়েছে,
আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকলে ডিজিটাল মার্কেটিং
সম্পর্কিত অনলাইন সার্ভিস দিতে পারেন।
পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়ে ব্যবসা শুরু করা যাবে। ছোট একটি
রুম ভাড়া নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিসে কাজ করতে পারেন। পাশাপাশি বিভিন্ন
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
মাছ চাষ করে উপার্জন
মাত্র ৫০০০ টাকা দিয়ে মাছের পোনা ক্রয় করে মাছ চাষ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা
যায়। পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করে অনেকেই লাভজনক ব্যবসা গড়ে তুলছে। মাছ চাষে
প্রচুর লাভ করা যায়, তাই আপনার যদি মাছ চাষ করার ইচ্ছা থাকে তাহলে ছোট পরিসরে
পুকুরে পোনা ছেড়ে মাছ চাষ করতে পারেন।
তবে পুকুর না থাকলে বড় ট্যাংকিতে মাছ চাষ করা যেতে পারে। মাছ চাষ করতে হলে মাছের
খাবার ও মাছ সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান থাকতে হয়। আপনি মাছ চাষ সম্পর্কিত সকল কিছু
জেনে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে মাছ চাষ ব্যবসাটি করতে পারেন।
ফুচকা ও চটপটি ব্যবসা
রাস্তার আশেপাশে ও রাস্তার ধারে ফুচকা ও চটপটির প্রচুর চাহিদা রয়েছে, রাস্তার
আশেপাশে ফুচকা ও চটপটির দোকান দিয়ে লাভজনক ব্যবসা শুরু করা যাবে। মাত্র ৫০০০
টাকা দিয়ে খাবারের উপকরণগুলো ক্রয় করে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
আপনার ফুচকা ও চটপটির কোয়ালিটি ভালো হলে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তাছাড়া
আকর্ষণীয় ও টেস্টি খাবার হলে বেশি বিক্রি হয়। সে ক্ষেত্রে আপনি ফুচকা ও চটপটি
আকর্ষণীয়ভাবে বানানোর চেষ্টা করবেন। এভাবেই ফুচকা ও চটপটির ব্যবসা করে ভালো অর্থ
উপার্জন করা যায়।
মোবাইল ফোন কভার ও এক্সেসরিজ বিক্রি
আকর্ষণীয় ডিজাইনের মোবাইল ব্যাক কভার ও এক্সেসরিজ বিক্রয় করে প্রচুর টাকা ইনকাম
করা যায়। আপনি মোবাইল এক্সেসরিজ এর ব্যবসাটি অনলাইনে শুরু করতে পারবেন। পাইকারি
কম দামে আকর্ষণীয় ফোন এক্সেসরিজ গুলো ক্রয় করে অনলাইনে ডেলিভারি দিয়ে ব্যাপক
টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
বর্তমানে ফোন এক্সেসরিজ অর্থাৎ ফোন ব্যাক কভারের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে, তাই আপনি
আকর্ষণীয় ব্যাক কভার গুলো বানিয়ে অথবা ক্রয় করে সেগুলো অনলাইন প্লাটফর্মে
বিক্রয় করতে পারেন। অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য ফেসবুক পেজ খুলতে হবে, সেখানে
আপনি নিজের স্টোর খুলে পণ্য গুলো বিক্রয় করতে পারবেন। এভাবেই মাত্র ৫ হাজার
টাকায় লাভজনক ব্যবসা শুরু করা যায়।
সর্বশেষ কথা
5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায় ও ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়াগুলো
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের
দেখানো ব্যবসার আইডিয়াগুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ৫০০০ টাকা দিয়ে ব্যবসা করে
সফল হতে পারবেন। ৫ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করে সফলতা অর্জন করতে হলে প্রচুর
পরিশ্রম করতে হবে,
তাহলেই কম পুঁজিতেও ব্যবসা করে বেশি টাকা ইনকাম করা যাবে। কিভাবে টাকা ইনকাম করা
যায় ও অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে নিয়মিত আমাদের
ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায় এই সম্পর্কিত প্রশ্ন থাকলে
কমেন্ট বক্সে জানাবেন, আমরা দ্রুত রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url