মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় (সেরা ১৫টি)
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে সঠিক আর্টিকেলটিতে
এসেছেন। কারণ আজকের পুরো আর্টিকেলটিতে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায়
গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। উপায় গুলো আপনি যদি ভালো করে পড়েন তাহলে
নিশ্চয়ই মাসিক বিশ হাজার টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। বর্তমান সময়ে মাসে ২০ হাজার
টাকা আয় করা তেমন কঠিন বিষয় নয়। সঠিকভাবে উপায় অনুসরণ করে কাজ করলে সহজেই
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
বর্তমানে টাকা ইনকাম করার অনেক সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে
টাকা ইনকাম করা যায়। আপনারা খুব সহজেই প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
এক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা , পরিকল্পনা ও পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে।
তাহলে
সহজে ঘরে বসেই মাসে ২০ হাজার আয় করতে পারবেন। আমরা আর্টিকেলটিতে কিছু কার্যকরী ও
সহজ উপায় গুলো আলোচনা করব যা আপনাকে মাসিক ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে সহায়তা
করবে।
সূচিপত্রঃ মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই অনলাইন থেকে ইনকাম করার চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু
কৌশল ও উপায় না জানার কারণে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারি না। মনে রাখবেন অনলাইন
থেকে ইনকাম করার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট স্কিল এর প্রয়োজন হয়। স্কিল না
থাকার কারণে আমরা অনেকেই অনলাইন থেকে সহজে আয় করতে পারি না।
আরো পড়ুনঃ ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার উপায়
এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় স্কিল থাকা সত্বেও অনলাইন থেকে অনেকেই ইনকাম
করতে পারে না। এর অন্যতম কারণ হলো সঠিক কৌশল ও গাইডলাইন সম্পর্কে না জানা। সঠিক
গাইডলাইন না জানার কারণে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করতে পারেনা।
আরো পড়ুনঃ
ইনভেস্ট ছাড়া টাকা ইনকাম করার সাইট
তাছাড়াও অনেকেই ধৈর্য ধরে কাজ না করার কারণে টাকা ইনকাম করতে পারে না। এজন্য
সকলকে বলব ধৈর্য ধরে সঠিক গাইডলাইন অনুযায়ী কাজ করুন তাহলে মাসে ভালো উপার্জন
করতে পারবেন।নিম্নে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সমূহ আলোচনা করা
হলোঃ
- কনটেন্ট রাইটিং করে উপার্জন
- ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- ব্লগিং করে আয়
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- ট্রান্সলেশন কাজ
- বুটিক ব্যবসা
- মোবাইল রিপেয়ারিং
- গেমিং লাইভ স্ট্রিমিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস
- ফটোগ্রাফি
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- ভিডিও এডিটিং
- বেবি ডেকেয়ার সেন্টার খুলে ইনকাম
- ডেলিভারি করে আয়
- অনলাইন কোর্স বিক্রি
- ইউটিউব চ্যানেল
- অনলাইন টিউশন
- ফেসবুক মার্কেটিং সার্ভিস
কনটেন্ট রাইটিং করে উপার্জন
মাসে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে কন্টেন্ট রাইটিং হতে পারে আপনার
জন্য সবচেয়ে বড় সুযোগ। আপনি জেনে অবাক হয়ে যাবেন যে আর্টিকেল রাইটিং করেই
মাসে বিশ হাজার টাকা ইনকাম করা তেমন কঠিন ব্যাপার না, একজন কনটেন্ট রাইটার খুব
সহজেই মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
আপনি যেই ভাষাতেই কনটেন্ট লিখুন কিনা আপনি খুব সহজে টাকা উপার্জন করতে
পারবেন।এক্ষেত্রে কনটেন্ট রাইটিং করে টাকা উপার্জন করতে হলে কিছু স্ট্রাটেজি ও
নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার বা কনটেন্ট রাইটার হতে হলে খুব
পরিশ্রম করতে হয়, মূলত অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে হয় তাহলেই দক্ষ আর্টিকেল
রাইটার হওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ
টাকা ইনকাম করার অ্যাপ
কনটেন্ট রাইটিং করতে হলে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান থাকা অবশ্যক। পাশাপাশি
ডিজিটাল মার্কেটিং এর SEO বিষয়টি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। তাহলে
আর্টিকেল রাইটিং করে কনটেন্টটি রেংক করানো যাবে। তাছাড়াও ইউনিক হাই
কোয়ালিটির আর্টিকেল লিখে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। তাহলেই আর্টিকেল
রাইটিং করে নিজে ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করা যাবে।
পাশাপাশি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আর্টিকেল রাইটিং জব করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। বর্তমানে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও বড় বড় নিউজ পেপার
ওয়েবসাইটগুলোতে আর্টিকেল রাইটার নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।
আপনি যদি দক্ষ আর্টিকেল রাইটার হয়ে থাকেন তাহলে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আর
আপনি যদি দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন তাহলে নিজের সিভি তৈরি করুন, যাতে করে
আপনার সিভি দেখে আপনাকে আর্টিকেল রাইটিং জব দিতে পারে। কনটেন্ট রাইটিং কাজটি
পাওয়ার জন্য প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ( Upwork, Fiverr,
Freelancer) প্রোফাইল বানিয়ে রাখুন।
প্রোফাইলে অবশ্যই আকর্ষণীয় গীগ বানিয়ে পাবলিশ করবেন। এতে করে ক্লাইন্টরা আপনার
প্রোফাইল দেখে আকৃষ্ট হয়ে আর্টিকেল রাইটিং জব অফার করতে পারে। এভাবেই মাসে ২০
হাজার টাকা খুব সহজে আয় করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং
এমন একটি পেশা যেটি ঘরে বসে করা যাবে। ঘরে বসে যেকোন সময় ফ্রিল্যান্সিং করা যায়
বলে একে অনেকেই মুক্ত পেশা বলে থাকে। এখানে কারো নিয়ন্ত্রণ থাকেনা, নিজের
ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়।আপনার নিজের দক্ষতা অনুযায়ী
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এ কাজের অভাব নেই, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কোন কাজ করে টাকা ইনকাম
করা যাবে। যেমনঃ আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন বা কনটেন্ট রাইটার
হয়ে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে এই কাজগুলো করে প্রতি মাসে অন্তত ২০
থেকে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজের অনেক
অপশন রয়েছে।
আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোন কাজ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে যে কাজটি আপনি
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে করবেন সেটিতে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে হবে, অর্থাৎ
আপনার উক্ত কাজটিতে পরিপূর্ণ দক্ষতা থাকলেই সেটি করে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম
থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি একজন কনটেন্ট রাইটার ,গ্রাফিক্স ডিজাইনার ,এসইও এক্সপার্ট ,ডিজিটাল
মার্কেট , ভিডিও এডিটর হয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো করতে পারেন। উক্ত
কাজগুলোর মধ্যে যেই একটি কাজটিতে আপনি দক্ষ সেই কাজটি করুন। আর ফ্রিল্যান্সিং
করার সময় অবশ্যই ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যাবেন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে সফলতা
অর্জন করা যাবে।
যেকোন কিছুতে সফলতা অর্জন করার একমাত্র উপায় হল ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করা। তাই আমার
মতে আপনি যদি মাসে ২০ হাজার টাকা সহজে ইনকাম করতে চান তাহলে ধৈর্য ধরে পরিশ্রম
করে ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করুন। নিঃসন্দেহে টাকা আয় করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন
এফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে ইনকামের জনপ্রিয় একটি উপায়। মাসে ২০ হাজার
টাকা আয় করার উপায় সমূহের মধ্যে এই উপায়টি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ
করেছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং ঘরে বসে কম্পিউটারে করা যায়, তাই এই কাজটির
জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকোন কোম্পানির প্রোডাক্ট ও পরিষেবা প্রচার
করে বিক্রি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করাকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।
ধরুন আপনি যেকোন কোম্পানির প্রোডাক্ট ও সেবা গুলো প্রচার করলেন এবং গ্রাহকদের
আকৃষ্ট করার চেষ্টা করলেন, যার ফলে গ্রাহকরা প্রোডাক্টগুলো ক্রয় করতে আগ্রহী হলো
এবং প্রোডাক্ট ক্রয় করল, যখন প্রোডাক্ট ক্রয় করবে তখন আপনি প্রতিটি প্রোডাক্ট
বিক্রির বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা কমিশন পাবেন। এই কমিশন কোম্পানি প্রদান
করে থাকে।
এভাবে আপনি যদি কোম্পানি প্রোডাক্ট গুলো বেশি বিক্রয় করে দিতে পারেন তাহলে সহজে
মাসে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।এভাবেই বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট
এবং সেবা promotion করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন।
প্রমোশন করার জন্য আপনি নিজের ফেসবুক পেজ অথবা ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। এই
উপায়টি আপনাকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে সহায়তা করবে। এটি এমন একটি উপায়
যেটি অনুসরণ করে যে কোন ব্যক্তি ঘরে বসে ২০ হাজার টাকারও বেশি ইনকাম করতে সক্ষম
হবে।
ব্লগিং করে আয়
অনলাইনে ঘরে বসে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এখনই ব্লগিং শুরু
করুন।বর্তমানে এই আধুনিক যুগে অনলাইনে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার অন্যতম উপায় হলো
ব্লগিং। ব্লগিং করে অনেক ব্যক্তি বর্তমানে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে। বিশেষ
করে যুবক ছেলে মেয়েরা ব্লগিং করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করে আসছে। আপনি
চাইলে ব্লগিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা অনায়াসেই আয় করতে পারেন।
ব্লগিং এমন একটি মাধ্যম যেখানে খুব সহজে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনার যদি
আর্টিকেল রাইটিং এর এক্সপেরিয়েন্স থাকে তাহলে সেই এক্সপেরিয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে
নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণত
ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখালেখি করাকেই ব্লগিং বলা হয়ে থাকে।
আপনার বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান থাকলে আর্টিকেল রাইটিং করে নিজ ওয়েবসাইট থেকে
প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারেন। নিজ ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে
হলে ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর থাকতে হয়। আর ভিজিটর বা ট্রাফিক আনার মূল
মন্ত্র হল এসিও সম্পন্ন হাই কোয়ালিটির আর্টিকেল লেখা।
আপনি যদি ইউনিক হাই কোয়ালিটির আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে নিজ ওয়েবসাইটের বেশি
ট্রাফিক আনার মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ব্লগিং
একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, ব্লগিং করে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই ধৈর্য ধরে কাজ করে
যেতে হবে।
ধরুন আপনি আজকেই ওয়েবসাইট খুললেন আর কালকে থেকেই আপনার ইনকাম হবে, বিষয়টি মোটেই
এমন নয়। ব্লগিং করে টাকা উপার্জন করতে হলে প্রচুর পরিশ্রম করে কাজ করতে
হয়। ব্লগিং করে সহজেই প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।
প্যাসিভ ইনকামের আইডিয়া হিসেবে ব্লগিং অন্যতম। এভাবে ব্লগিং উপায়টি অনুসরণ
করলে আপনি মাসে ২০ হাজার টাকা সহজেই আয় করতে পারবেন। এটি আপনাকে মাসে কমপক্ষে ২০
থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে সাহায্য করবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট হলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কোনো
ব্যবসা, প্রতিষ্ঠান, বা ব্যক্তির প্রোফাইল পরিচালনা করা। আপনি অনলাইনে
বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করে টাকা আয় করতে পারেন। বর্তমানে অনেকেই
অনলাইনে ফেসবুক পেজ পরিচালনা ও ফেসবুক পেজ মডারেট করে টাকা ইনকাম
করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ভাবে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এর মধ্যে অন্যতম উপায় হল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করা। অনেক বড়
বড় ফেসবুক পেজ রয়েছে তারা তাদের পেজগুলো পরিচালনা করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া
ম্যানেজমেন্ট খুঁজে থাকে। এখানে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ হল
ফেসবুক পেজটি পরিচালনা করা, ফেসবুকে পেজে পোস্ট করা, ছবি আপলোড করা ও কনটেন্ট
লেখা।
উক্ত কাজগুলো একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে করতে হয়। তাছাড়াও
সোশ্যাল মিডিয়ার পেজটিকে কিভাবে বড় করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখা এবং পোষ্টের
এনগেজমেন্ট বাড়ানো ইত্যাদি কাজ করতে হয়। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া
প্ল্যাটফর্মে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে প্রতি মাসে
বিশ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারেন।
ট্রান্সলেশন কাজ করে আয়
ট্রানসলেশন সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন, ট্রানসলেশন হল ভাষা অনুবাদ
করা। ধরুন আপনি ইংরেজি জানেন, তাহলে বাংলা ভাষাকে ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করে
টাকা আয় করতে পারেন। পাশাপাশি আপনি অন্য আরো ভাষাতে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে
ট্রান্সলেটর সেবা অনলাইনে প্রদান করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ও প্লাটফর্মে ট্রান্সলেশন কাজের জন্য ট্রান্সলেটর নিয়োগ
দেওয়া হয়। ট্রান্সলেশন কাজগুলো আপনি কোথায় পাবেন এই প্রশ্নটি অনেকেই করে
থাকেন।ট্রান্সলেশন বা ট্রান্সলেটর কাজগুলো আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া
প্ল্যাটফর্মে অথবা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে পেতে পারেন।
আপনি যেই ভাষাতে দক্ষ সেই সম্পর্কিত একটি প্রোফাইল বানিয়ে প্রতিটি
ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে একাউন্ট খুলে রাখুন। এরপর ক্লায়েন্টরা আপনাকে
যাচাই-বাছাই করে ট্রান্সলেশন কাজের জন্য নিয়োগ দেবে।এভাবে ট্রান্সলেশন কাজ করে
মাসে ১০০ থেকে ২০০ ডলার অনায়াসেই আয় করতে পারেন।
বুটিক ব্যবসা করে আয়
বুটিক ব্যবসা মূলত হলো কাপড়ের ব্যবসা। বুটিক ব্যবসা এমন একটি উদ্যোগ যেখানে
বিশেষ ধরনের পোশাক, ফ্যাশন সামগ্রী বা হাতের কাজের পণ্য বিক্রি করা হয়। এই
ব্যবসাটি করে খুব সহজে ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে
অনলাইনে মেয়েদের জামা কাপড়ের ডিমান্ড বেশি হয়ে থাকে।
আপনি বিভিন্ন ফ্যাশনের এবং ডিজাইনের কাপড় বিক্রি করে অনলাইন থেকে টাকা
উপার্জন করতে পারেন। অনেকেই এই বুটিক ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করে আসছে। বুটিক
ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাপড় বিক্রয় করতে পারেন যেমনঃ (শাড়ি,
সালোয়ার কামিজ, লেহেঙ্গা)। আর এই কাপড় গুলো অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে
ডেলিভারি দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
মোবাইল রিপেয়ারিং সার্ভিস প্রদান করে ইনকাম
আপনি যদি মোবাইল রিপেয়ারিং এর দোকান দিতে পারেন তাহলে মাসে ভালো অর্থ উপার্জন
করতে পারবেন। আপনার হাতের মোবাইলটি বিভিন্ন কারণে সমস্যা অথবা নষ্ট হতে
পারে। এই মোবাইল ফোন নষ্ট হলে আপনি রিপেয়ারিং করার জন্য মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে
গিয়ে থাকেন।
আর একটা মোবাইল সার্ভিসিং করানোর জন্য কমপক্ষে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা
পর্যন্ত লাগতে পারে। এজন্য বলা যায় এই মোবাইল রিপেয়ারিং সার্ভিস দোকানটি
দিয়ে ২০ হাজার টাকা প্রতিমাসে আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন মোবাইল
সার্ভিসিং সার্ভিসটি ভালোভাবে দিতে হবে।
আর আপনার দোকানে অবশ্যই দক্ষ মোবাইল রিপেয়ার কর্মী নিয়োগ দিবেন তাহলে মোবাইল
সার্ভিসিং ব্যবসাটি করে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই কাজটি করে
সহজেই মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
গেমিং লাইভ স্ট্রিমিং করে আয়
গেম খেলতে ভালোবাসেন তাহলে গেম খেলেই অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করুন। অনলাইনে
বিভিন্ন প্লাটফর্মে গেম খেলার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি যদি
জনপ্রিয় ফ্রী ফায়ার , পাবজি গেমে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই গেমগুলোর সরাসরি
সম্প্রচার করে বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
বিশেষ করে ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যাবে। সরাসরি গেমিং লাইভ
স্ট্রিম করে ফেসবুক এবং ইউটিউব বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে
পারেন। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের গেমের সরাসরি সম্প্রচার করে টাকা ইনকাম করা
যাবে। আপনার যে গেম খেলতে ভালো লাগে সেই গেমটি নিয়ে লাইভ কাস্ট করার চেষ্টা
করুন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি উপায়
যেটি অনুসরণ করলে যেকোন ব্যক্তি সহজে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবে। বলে
রাখি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজটি করা খুবই সহজ। যদি আপনি একবার গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে
ফেলেন তাহলে বিভিন্ন ভাবে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম সহ সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলো থেকেও গ্রাফিক্স ডিজাইন
করে টাকা ইনকাম করা যাবে। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির লোগো ডিজাইন ও আনুষাঙ্গিক
ছবি তৈরি এবং ডিজাইন করে নির্দিষ্ট বেতনের জব পর্যন্ত করতে পারবেন।
আপনি যদি একজনকে দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং
প্লাটফর্মে নিজের পোর্টফলিও গিগ তৈরি করে প্রোফাইল বানিয়ে
রাখুন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার
হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারলেই ব্যাপক পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন
বিদেশি ক্লায়েন্টদের গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রজেক্ট কমপ্লিট করে প্রচুর টাকা আয়
করতে পারেন।
অনলাইন কোর্স বিক্রি
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার জনপ্রিয় উপায় হলো অনলাইন কোর্স বিক্রি
করা। বর্তমান সময়ে সকলেই অনলাইনে কম টাকায় কোর্স করতে পছন্দ করে থাকে।
আপনার নির্দিষ্ট দক্ষতা থাকলে কোর্স বানিয়ে কম টাকায় বিক্রি করে অনলাইন থেকে
টাকা উপার্জন করতে পারেন। আর এছাড়াও অনলাইনে কোর্স করলে সময় কম নষ্ট
হয়, যার কারণে সকলেই অনলাইনে কোর্স করতে চেয়ে থাকে।
আপনার যদি কোর্স করানোর দক্ষতা থাকে তাহলে কোর্সেরভিডিও বানিয়ে বা সরাসরি লাইভ
ভিডিও করে কোর্স করাতে পারেন। অনলাইন কোর্স বিক্রি করার মাধ্যম
হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন।
পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দক্ষ হলে নিজের ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে
কোর্সের বিবরণ দিয়ে কোর্সগুলো বিক্রয় করতে পারেন। এভাবে আপনি যদি বেশি
সংখ্যক কোর্স বানিয়ে বিক্রয় করতে পারেন তাহলে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
করা সহজ হয়ে দাঁড়াবে।
সর্বশেষ কথা
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে A TO
Z আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এতে করে আপনি উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে
এবং উপায় গুলি অনুসরণ করে প্রতিমাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। আমরা খুব
সহজ উপায় গুলো আলোচনা করেছি, এই উপায়গুলো যদি আপনি মেনে পরিকল্পনা ও
সঠিক কৌশল অনুযায়ী কাজ করে যান তাহলে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে সক্ষম
হবেন।
মনে রাখবেন পরিশ্রমই সফলতার চাবিকাঠি, তাই যে কোন কাজ করতে গেলে সেটি ধৈর্য
সহকারে পরিশ্রম করে যেতে হয়। তাই আপনাকে বলব উপায়গুলো অনুসরণ করুন এবং
পরিশ্রম করে ধৈর্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যান তাহলে টাকা উপার্জন করতে
পারবেন। আর অবশ্যই সঠিক গাইডলাইনস জেনে পরিকল্পনা করে কাজ করার
চেষ্টা করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url