৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা করার লাভজনক ২০টি আইডিয়া

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা করার প্রচুর আইডিয়া রয়েছে যা আমরা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব। বেশ কিছু জনপ্রিয় আইডিয়া জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব যেগুলো জেনে আপনি মাত্র 30000 টাকা দিয়েই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। যারা ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আর্টিকেলটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আর্টিকেলে আমরা কিভাবে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা
৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা করতে চাইলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। কারণ আর্টিকেলের প্রতিটি অংশে আমরা ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করার উপায় গুলো ও আইডিয়াগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব। বর্তমানে বেশ কিছু জনপ্রিয় ব্যবসা করার আইডিয়া রয়েছে সেই আইডিগুলো নিয়ে আমরা আজকে হাজির হয়েছি।
সূচিপত্র

বিবরণ । ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা 

অনেকেই আপনারা কম পুজিতে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা করার জন্য আইডিয়া খুঁজে থাকেন, কিন্তু কোথাও সঠিক আইডিয়াগুলো খুঁজে পান না। আর এজন্যই আমরা আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করার  আইডিয়াগুলো বিস্তারিত জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। 

আপনার ব্যবসার পুঁজি কম হয়ে থাকলেও আপনি ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন। অনেকেই মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দিয়েই ব্যবসা শুরু করে লাভবান হচ্ছে। আর আপনি তো 30 হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করার চিন্তা ভাবনা করছেন। 

বর্তমান সময়ে ব্যবসা করে খুব দ্রুত সফলতা অর্জন করা যাচ্ছে। তাই ঘরে বেকার বসে সময় নষ্ট না করে ব্যবসা করার সামান্য পুঁজি থাকলে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আমার অনেকে রয়েছে যারা মাত্র 30000 টাকা দিয়ে ব্যবসা করার গাইডলাইন না জানার কারণে সঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারেনা এবং লাভজনক ব্যবসা গড়ে তুলতে পারে না। 

তাদের কথা চিন্তা করেই আমরা মাত্র ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা করার জনপ্রিয় আইডিয়াগুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের দেখানো গাইডলাইন্স অনুসরণ করলে আপনি নিশ্চয়ই সহজেই ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। 

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা 

মাত্র ৩০ হাজার টাকা দিয়েই বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যায়। প্রচুর ব্যবসা পেয়ে যাবেন যেগুলো করে আপনি আর্থিকভাবে সফল হতে পারবেন। ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কি ধরনের ব্যবসা করা যায় সেই সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনার ব্যবসার ইনভেস্টমেন্ট কম থাকলে আপনি শুধুমাত্র ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা চালু করতে পারেন। 
অনেকেই মনে করে থাকে ব্যবসা করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হয়নি, এই কথাটি মোটেই সত্য নয়। ব্যবসা করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকার প্রয়োজন নাই , শুধুমাত্র সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রম দিয়ে কাজ করলেই ব্যবসা করে সফলতা অর্জন করা যায়। 
মূলত আপনার পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকলে কম টাকা দিয়েও ব্যবসা শুরু করে বেশি অর্থ উপার্জন করা যায়। আমরা আপনাদের এমন কিছু ব্যবসার আইডিয়া জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব যেগুলো আপনি ৩০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করে লাভবান হতে পারবেন। নিম্নে ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা করার ২০টি আইডিয়া দেখানো হলোঃ 
  • ৩০ হাজার টাকায় ডিমের ব্যবসা
  • শাকসবজি চাষ ব্যবসা
  • ৩০০০০ টাকায় কবুতরের ব্যবসা
  • ফুড ভ্যান এর ব্যবসা
  • চায়ের দোকানের ব্যবসা
  • পোশাকের ব্যবসা
  • মৌসুমী ফলের ব্যবসা
  • ৩০ হাজার টাকায় মুরগির ব্যবসা
  • মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা
  • মাছের ব্যবসা
  • খাবারের ব্যবসা
  • টিউশন বা কোচিং সেন্টার
  • কাস্টম প্রিন্টেড টি-শার্ট
  • ফটোগ্রাফি সার্ভিস
  • মোবাইল এক্সেসরিজ বিক্রি ব্যবসা
  • বাচ্চাদের জন্য খেলনা বিক্রি
  • প্ল্যান্ট নার্সারি বা গাছ বিক্রি
  • কাপড়ের ব্যাগ তৈরি ব্যবসা
উপরে উল্লেখিত ২০টি ব্যবসা আপনি মাত্র ৩০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারবেন। তবে ব্যবসাগুলো সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জানতে হবে। এজন্য ব্যবসা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো।

৩০ হাজার টাকায় ডিমের ব্যবসা

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসার আইডিয়া গুলোর মধ্যে ডিমের ব্যবসা সবচেয়ে জনপ্রিয়। কারণ এই ব্যবসাটি করে সহজেই সফল হওয়া যায়। অনেকেই বর্তমানে কম টাকা দিয়েই ডিমের ব্যবসা শুরু করছে। ডিম এমন একটি চাহিদা সম্পন্ন খাবার যেটির বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে, যার কারণে এই ব্যবসাটি করে খুব দ্রুত সময়ে সফল হওয়া যাবে। 

আপনি মাত্র 30 হাজার টাকা দিয়ে ডিমের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ডিমের ব্যবসা শুরু করার জন্য অবশ্যই আগে ব্যবসা সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা রাখতে হবে। প্রথমত ডিমের ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই ভালো মানের ডিম সংগ্রহ করতে হবে। ভালো মানের ডিম বিক্রি করে লাভজনক ব্যবসা দাঁড় করানো যায়। ডিমের ব্যবসা করার জন্য বাজারে বা বাড়ির আশেপাশে জনসমাগম এলাকায় ছোট একটি দোকান ভাড়া নিবেন। 

এরপর দোকানে ভালো মানের বড় আকৃতির মুরগির বা হাঁসের ডিম মজুদ রাখবেন। আপনি সরাসরি খামার থেকে ডিম সংগ্রহ করতে পারেন অথবা মুরগির ফার্ম মালিকের কাছ থেকে পাইকারি কম দামে ডিম সংগ্রহ করতে পারেন। এভাবে কম দামে ডিম ক্রয় করে বাজার মূল্যে বিক্রি করে বেশ ভালো টাকা উপার্জন করা যায়। যারা ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করতে চান তারা ডিমের ব্যবসা দিয়ে শুরু করতে পারেন। 

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা - শাকসবজি চাষ 

বাড়ির আশেপাশে অথবা বারান্দাতে আপনি ফুলের টবে সবজি চাষ করে কিছুটা টাকা উপার্জন করতে পারেন। তবে আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে জমিতে মাত্র ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে শাক সবজি চাষের ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে শাকসবজি চাষ করে অনেক কৃষক প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। 

বিশেষ করে সিজিনাল শাকসবজি চাষ করলে লাভজনক ব্যবসা করা যায়। আর বর্তমান সময়ে শাক সবজির প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। বাজারে ভালো মানের শাকসবজি বিক্রয় করতে পারলে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। ভালোভাবে শাকসবজি চাষ করার জন্য অবশ্যই জমি নির্বাচন করতে হবে। শাকসবজি চাষ করে লাভবান হওয়ার জন্য মৌসুমী সবজি চাষ করবেন। 
৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা
তাছাড়াও শাকসবজি চাষ কিভাবে করতে হয় এ সম্পর্কে একটি কোর্স করতে পারেন, সরকারিভাবে অনেক সময় এই ধরনের কোর্স ফ্রি দিয়ে করানো হয়ে থাকে। মূলত দেশের বেকারত্ব দূর করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। এভাবে আপনি শাক-সবজি চাষ করার নিয়ম জেনে শাকসবজি চাষ করে নিজের বেকারত্ব দূর করতে পারেন।

৩০০০০ টাকায় কবুতরের ব্যবসা

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল কবুতরের ব্যবসা। বর্তমানে কবুতরের ব্যবসা খুবই লাভজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি কবুতরের ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে কম সময়ে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনার ভালো একটা মাসিক ইনকাম হবে। 

কবুতরের ব্যবসা শুরু করতে হলে কবুতরের জাত ও কবুতর সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। আর আপনি কোন জায়গার মধ্যেই কবুতরের ব্যবসাটি করতে পারবেন। কম খরচে মাত্র ত্রিশ হাজার টাকার মধ্যে কবুতরের ঘর বানিয়ে কবুতরের ব্যবসা শুরু করা যায়। কবুতরের ব্যবসা করার নিয়মঃ
  • প্রথমেই কবুতরের জন্য ভালো মানের ঘর তৈরি করতে হবে।
  • এরপর প্রায় সকল ভালো মানের কবুতর সংগ্রহ করতে হবে।
  • আপনি চাইলে বিভিন্ন জাতের কবুতর সংগ্রহ করতে পারেন।
  • কবুতরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার এর ব্যবস্থা করতে হবে
  • কবুতরের ঘরে সবসময় স্বচ্ছ পানির ব্যবস্থা রাখবেন
  • কবুতরের বাচ্চা হলে সেগুলো বিক্রি করে ব্যবসার খরচ উঠাতে পারেন। 
বর্তমান সময়ে কবুতরের ব্যবসাটি খুবই লাভজনক, তাই আমাদের মতে আজ থেকে আপনারা ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে কবুতরের ব্যবসা শুরু করুন, যদি আপনার ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা থাকে। 

ফুড ভ্যান এর ব্যবসা

ফুড ভ্যান এর খাবারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এই ব্যবসাটি খুবই লাভজনক তাই আপনারা শুরু করতে পারেন। ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একটি স্টল কিনে নিয়ে রাস্তার আশেপাশে এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। তবে ভালো মানের আকর্ষণীয় স্ট্রীট ফুড তৈরি করতে হবে, তাহলে এই ব্যবসাটি করে সফল হতে পারবেন।

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা করতে চাইলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন কারণ এই ব্যবসাটিতে প্রচুর লাভ করা যায়। বর্তমানে সকলেই প্রায় ফাস্টফুড পছন্দ করে থাকে। আপনি ছোট একটি দোকান দিয়ে ফাস্টফুডের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

প্রথমে আগে জনসমাগম এলাকায় দোকানটি নিবেন। এরপর আকর্ষণীয় ফাস্টফুড যেমন বার্গার , গ্রিল , ফুসকা , চটপটি , হালিম ,চিকেন ফ্রাই ,কাবাব ইত্যাদি তৈরি করবেন। এই ধরনের খাবারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আকর্ষণীয়ভাবে তৈরি করুন লাভজনক ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন। 

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা  হল চায়ের ব্যবসা

মাত্র ৩০ হাজার টাকা দিয়ে চায়ের ব্যবসা শুরু করে অনেকেই লাভজনক ব্যবসা করতে পারছে। বর্তমানে চায়ের ব্যবসা করে সহজেই দিনে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা ইনকাম করা যায়। আর আপনি যদি চা বিক্রি করে দিনে দুই হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন তাহলে মাসে ইনকাম হয় ৬০ হাজার টাকা। যা যেকোনো ধরনের ছোট চাকরি থেকেও বেশি টাকা। 

তাই আমার মতে মাত্র ৩০ হাজার টাকা দিয়ে চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করুন, যদি আপনি বেকার থাকেন হাতে কোন কাজ নেই তাহলে এই চায়ের দোকান দিয়ে মাসে ত্রিশ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। চায়ের দোকানে অবশ্যই বাজারে অথবা জনসমাগম পুণ্য এলাকায় হতে হবে। তাহলে এই ব্যবসাটি করে আর্থিকভাবে সফল হতে পারবেন। 

পোশাকের ব্যবসা ৩০ হাজার টাকায়  

ব্যবসার পুঁজি অল্প হয়ে থাকলে রেডিমেড পোশাকের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি ও আপনি ৩০০০০ টাকা দিয়ে শুরু করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইনে পোশাক বিক্রির ব্যবসা করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। তাই আপনি পোশাকের ব্যবসা শুরু করে অনলাইনে বিক্রি করে লাভজনক ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। 

পোশাকের ব্যবসা দুইভাবে করা যায়, আপনি সরাসরি বাজারে দোকান দিয়ে বিক্রি করতে পারেন অথবা অনলাইনের মাধ্যমে পোশাক ডেলিভারি করে বিক্রয় করতে পারেন। অর্থাৎ অনলাইন পোশাক ব্যবসা করা যাবে। পোশাকের ব্যবসা করার জন্য ভালো মানের কোয়ালিটি সম্পূর্ণ রেডিমেড পোশাক মজুদ রাখতে হবে। 

আপনি যদি পোশাকের কোয়ালিটি ভালো রেখে বিক্রয় করতে পারেন তাহলে ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। আর বিভিন্ন ডিজাইনের আকর্ষণীয় পোশাক গুলো সংগ্রহ করবেন তাহলে খুব দ্রুত বিক্রি করতে পারবেন। কারণ আকর্ষণীয় ডিজাইনের পোশাকগুলো প্রায় সকলেই পছন্দ করে থাকে। 

মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা

মোবাইল সার্ভিস সম্পর্কিত জ্ঞান থাকলে মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা 30000 টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি লাভজনক, কারণ প্রতিদিন কারো না কারো মোবাইলে কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। আর তারা মোবাইল ঠিক করার জন্য মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে গিয়ে থাকে। এজন্য আপনি বাজারে দোকান ভাড়া নিয়ে মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা চালু করতে পারেন। 

যদি আপনার ব্যবসাটির পরিচিতি বাড়াতে পারেন তাহলে এই মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা করে ব্যাপক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাই আমার মতে ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা হিসেবে মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা শুরু করুন।

টিউশন বা কোচিং সেন্টার

ত্রিশ হাজার টাকা বা তার কম খরচে ছোট একটি রুম ভাড়া নিয়ে টিউশন বা কোচিং সেন্টার খুলে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যদি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ভালো থাকে এবং আপনি যদি শিক্ষকতা করতে চান তাহলে কোচিং সেন্টার খুলে পাইভেট পড়াতে পারেন। অনেকেই বর্তমানে প্রাইভেট সেন্টার খুলে প্রচুর টাকা উপার্জন করছে। 

বর্তমানে এই টিউশন ও কোচিং সেন্টার ব্যবসাটি খুবই লাভজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে প্রত্যেকেই এখন শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করে প্রাইভেট সেন্টার খুলছে। আপনার যদি কোন বিষয়ে দক্ষতা থাকে তাহলে সে বিষয়টি নিয়ে কোচিং সেন্টার খুলুন বা প্রাইভেট সেন্টার খুলে পড়াতে পারেন।

কাস্টম প্রিন্টেড টি-শার্ট

৩০ হাজার টাকা দিয়ে কাস্টম প্রিন্টের টি শার্ট ব্যবসা শুরু করা যায়। বর্তমানে অনলাইনে কাস্টম প্রিন্টেড টি-শার্টের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। আপনি যদি ভালো মনে আকর্ষণীয় কাস্টম প্রিন্টেড টি শার্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে। লাভজনক ব্যবসা হিসেবে কাস্টম প্রিন্টেড টি-শার্ট ব্যবসাটি আপনি বেছে নিতে পারেন। যাদের গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা ফ্যাশন ডিজাইন করার দক্ষতা রয়েছে তারা এই ব্যবসাটি করে সফল হতে পারবেন।

মোবাইল এক্সেসরিজ বিক্রি ব্যবসা

৩০০০০ টাকা দিয়ে ব্যবসা করা যায় এমন একটি ব্যবসা হলেও মোবাইল এক্সেসরিজ বিক্রি ব্যবসা। আপনি জেনে অবাক হবেন বর্তমানে মোবাইল এক্সেসরিজের অধিক চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে মোবাইলের ব্যাক পার্ট ও গ্লাস প্রটেক্টর এর ডিমান্ড বাজারে বেশি। 

আপনি ছোট একটি দোকান ভাড়া নিয়ে আকর্ষণীয় মোবাইলের ব্যাক কভার , গ্লাস প্রটেক্টর , ইয়ারফোন , হেডফোন ও চার্জার সহ অন্যান্য এক্সেসরিজ মধু রাখতে পারেন। ভালো কোয়ালিটির মোবাইল এক্সেসরিজ যদি আপনি কম দামে বিক্রি করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য লাভজনক হয়ে উঠবে। 

আপনি পাইকারি কম দামে বিভিন্ন জায়গা থেকে মোবাইল ফোনের এক্সেসরিজ কিনে আনবেন। তাছাড়াও আপনি চাইলে এই মোবাইল এক্সেসরিজ গুলো অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারেন। এভাবে আপনি দুই উপায়ে মোবাইল এক্সেসরিজ বিক্রয় করে ব্যবসা করতে পারবেন। 

সর্বশেষ কথা

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা করার জনপ্রিয় ২০টি আইডিয়া আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। যদি আপনি ৩০ হাজার টাকায় লাভজনক ব্যবসা করতে চান তাহলে আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ুন। আমাদের দেখানো আইডিয়াগুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ৩০০০০ টাকা খরচ করে লাভজনক ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। 

আমরা সহজ ও জনপ্রিয় আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। এই ধরনের ব্যবসা সম্পর্কিত বা অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেনি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url