১৫+ নতুন ব্যবসার আইডিয়া গুলো বিস্তারিত জেনে নিন
আপনারা অনেকে নতুন ধরনের ব্যবসার আইডিয়াগুলো জানার জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করে
থাকেন, তবে কোথাও সঠিক তথ্য খুঁজে পান না। তবে এক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই
আজকের আর্টিকেলটিতেই নতুন ব্যবসার আইডিয়া ও স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। নতুন কি কি ব্যবসা করা যেতে পারে সেই
সম্পর্কেই বিস্তারিত জানানো হবে।
আপনার ব্যবসা করার চিন্তা ভাবনা থাকলে সামান্য পুঁজি নিয়ে নতুন ধরনের ব্যবসা
গুলো শুরু করতে পারেন। আজকের আর্টিকেলে নতুন ব্যবসার আইডিয়াগুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হবে। যদি আপনি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন হলে অবশ্যই নতুন
ধরনের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ
রইল।
সূচিপত্র
নতুন ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমানে এই প্রতিযোগিতার যুগে চাকরি পাওয়া সকলের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না।
তাই সকলের ব্যবসার করার চিন্তা ভাবনা করা উচিত। বর্তমানে নতুন ধরনের
ব্যবসা গুলো করলে খুব ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করা যায়।
আরো পড়ুনঃ
লুডু খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়
বেশ কিছু নতুন আইডিয়া নিয়ে আমরা আজকের নিবন্ধনে হাজির হয়েছি। লাভজনক কিছু
নতুন ব্যবসার আইডিয়াগুলো নিয়ে এখন বিস্তারিত আলোচনা করব। যারা ব্যবসা করতে
চাচ্ছেন, সঠিক ব্যবসা খুঁজে পাচ্ছেন না তারা এই নিবন্ধনটি ভালো করে পড়ুন।
আরো পড়ুনঃ
২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম
আমরা লাভজনক ব্যবসার আইডিয়াগুলো এখন আপনাদের বলে দেবো। যার ফলে আপনি সহজেই চাকরি
না করে ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন। নিম্নে লাভজনক নতুন ধরনের ব্যবসার
আইডিয়াগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলোঃ
- ডিজিটাল ও প্রযুক্তি-ভিত্তিক ব্যবসা
- খাদ্য ও পানীয় ব্যবসা
- পরিবেশবান্ধব ব্যবসা
- সেবা-ভিত্তিক ব্যবসা
- অনলাইন নতুন ব্যবসা
- স্বাস্থ্য ও ফিটনেস ব্যবসা
- মোবাইল সার্ভিসিং পার্টস এর ব্যবসা
- কনটেন্ট রাইটিং করে টাকা উপার্জন
- ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয়
- গিফট শপ অনলাইন
- মিনি গ্রোসারি শপ
- গার্মেন্টস এক্সেসরিজ বিক্রি
ডিজিটাল ও প্রযুক্তি-ভিত্তিক ব্যবসা
এই ডিজিটাল যুগে আপনি যদি অনলাইনে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে ডিজিটাল ও
প্রযুক্তি-ভিত্তিক ব্যবসা করে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ডিজিটাল ও
প্রযুক্তি সেক্টরে দক্ষ হয়ে থাকলে এই ধরনের ব্যবসা গুলো করে ভালো পরিমাণ টাকা
উপার্জন করতে পারেন। নিম্নে নতুন ধরনের ডিজিটাল ও প্রযুক্তি-ভিত্তিক ব্যবসা
আইডিয়াগুলো তুলে ধরা হলোঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিঃ আপনারা সকলেই জানেন ডিজিটাল মার্কেটিং
কি। ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি সেক্টর যেটির সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
বিশেষ করে ব্যবসা সেক্টরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক ডিমান্ড রয়েছে।
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ডিজিটাল
মার্কেটিং এজেন্সি খুলে ব্যবসা করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং
এজেন্সিতে প্রথমদিকে হয়তো ছোট ও মাঝারি ব্যবসাগুলোর জন্য সোশ্যাল
মিডিয়া মার্কেটিং, SEO, ও কনটেন্ট মার্কেটিং সেবা প্রদান করতে পারেন। পরবর্তীতে
ধীরে ধীরে ব্যবসার পুজি অনুযায়ী সেবার মান বাড়াতে পারেন।
অ্যাপ ডেভেলপমেন্টঃ কোডিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে এবং কোডিং বা
প্রোগ্রামিং এ দক্ষ হলে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে কাজ করতে পারেন। বর্তমানে
অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর ব্যবসা শুরু করেছে।
আর এই কাজটি করে তারা প্রচুর টাকা উপার্জন করছে আপনি যদি অ্যাপ ডেভলপার হয়ে
থাকেন তাহলে নিজেই অ্যাপ তৈরি করে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করতে
পারেন। পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে
দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এই মোবাইল অ্যাপ তৈরির ব্যবসাটি বর্তমানে খুবই
জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মঃ অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে কোর্স বিক্রি করে
বা কোর্স বানিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। নতুন এই ব্যবসাটি বর্তমানে অধিক
জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ বেশিরভাগ মানুষ এখন অনলাইনে নতুন কিছু শিখতে
চাই।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন সেক্টরে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং
সম্পর্কিত কোর্স বানিয়ে অনলাইন সাইটে বিক্রয় করুন। কোর্স বিক্রি করার জন্য
ফেসবুক , ইউটিউব সহ আরো ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করতে পারেন। বেশ
কিছু ই লার্নিং প্লাটফর্ম রয়েছে যেমনঃ টেন মিনিট স্কুল , হতভাগা
,coursera ইত্যাদি।
সাইবার সিকিউরিটি কনসালটেন্সিঃ ব্যবসা ও ব্যক্তির সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত
করার সেবাটি প্রদান করতে পারেন। যদি আপনি একজন সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট
হয়ে থাকেন তাহলে এই ব্যবসাটি করতে পারেন। বর্তমানে অনেক সাইবার সিকিউরিটি
এজেন্সি রয়েছে যারা এই ধরনের সার্ভিসগুলো প্রদান করে থাকে। আপনার যদি
সাইবার সিকিউরিটি সম্বন্ধে জ্ঞান থাকে তাহলে সাইবার সিকিউরিটি কনসালটেন্সি
ব্যবসাটি করতে পারেন।
খাদ্য ও পানীয় ব্যবসা(নতুন ব্যবসা আইডিয়া)
আপনারা চাইলে নতুন ধরনের খাদ্য ও পানীয় ব্যবসা গুলো করে টাকা আয় করতে পারেন।
বর্তমানে খাদ্য ও পানীয় লাভজনক ব্যবসা হিসাবে দাঁড়িয়েছে। এই জন্য সকলের
প্রায় খাদ্য ও পানীয় সম্পর্কিত ব্যবসা গুলো করতে চেয়ে থাকে। খাদ্য ও
পানীয় কি কি ব্যবসা করা যেতে পারে সে সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
অর্গানিক ফুড ডেলিভারিঃ স্বাস্থ্যসচেতন গ্রাহকদের জন্য অর্গানিক ফুড
তৈরি করে বাড়িতে ডেলিভারি করার মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে বেশিরভাগ
গ্রাহকরা তাজা ও স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করে থাকে। এজন্য আপনি বাড়িতেই
স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করুন।
আর সেগুলো দ্রুত সময় গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করুন। ফুড
ডেলিভারি করার জন্য ডেলিভারি ম্যান ভাড়া নিতে পারেন। বর্তমানে অনেকেই ডেলিভারি
ম্যানের কাজ করার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকে। আপনি সামান্য বেতনে ডেলিভারি ম্যান
ভাড়া নিয়ে অর্গানিক খাবার গ্রাহকদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারেন।
কাস্টমাইজড কেক ও বেকারি সেবাঃ নতুন ব্যবসার আইডিয়া
হিসেবে কাস্টমাইজড কেক ও বেকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি
অনলাইনে খুবই লাভজনকভাবে করা যায়। আপনি অনলাইনে প্রচার করে এ ব্যবসাটি
ভালোভাবে করতে পারেন।
গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী কেক এবং বেকারি পণ্য তৈরি ও সরবরাহ করুন। আর সেগুলো
দ্রুত সময়ে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে এই ব্যবসাটি করে
ভালো আর্নিং করা যাবে।
খাবার ডেলিভারি ব্যবসাঃ আপনি খাবার তৈরি না করেই অথবা কোন ধরনের
ইনভেস্ট না করেই শুধুমাত্র খাবার ডেলিভারি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। অনেকেই
খাবার ডেলিভারি করার ব্যবসা শুরু করেছে। মূলত ডেলিভারি ম্যান এর কাজটি করতে
পারেন।
এছাড়াও আপনারা চাইলে খাবার ডেলিভারি এজেন্সি খুলতে পারেন। এখানে আপনার কাজ হল
বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো গ্রাহকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া অর্থাৎ ফুড
ডেলিভারি করা। এক কথায় ফুড ডেলিভারির ব্যবসা করা।
সেবা-ভিত্তিক ব্যবসা
বিভিন্ন ধরনের সেবা ভিত্তিক ব্যবসা গুলো করতে পারেন। এই ধরনের ব্যবসা গুলোর বেশ
চাহিদা রয়েছে। নিম্নে সেবা ভিত্তিক কিছু ব্যবসার আইডিয়াগুলো তুলে ধরা হলোঃ
বাড়ি মেরামত ও পরিষেবা (Handyman Service): ছোটখাটো মেরামত ও ঘরোয়া
কাজের জন্য সেবা প্রদান করতে পারেন। মূলত ঘরবাড়ি মেরামত, পাশাপাশি বিভিন্ন
ঘরোয়া কাজের জন্য সেবা প্রদান ইত্যাদি। মূলত আপনি যদি রাজমিস্ত্রির কাজ
জানেন তাহলে এই ব্যবসাটি শুরু করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কারণ
ঘরবাড়ি মেরামত করার জন্য রাজমিস্ত্রি কাজ সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হয়।
ডে-কেয়ার সেন্টার বা বেবি সিটিংঃ আপনি যদি নতুন ব্যবসা করতে চান
সেক্ষেত্রে আমার মতে ডে কেয়ার সেন্টার আপনার জন্য সেরা হবে। আপনি ছোট একটি রুম
ভাড়া নিয়ে সেখানে বেবি ডে কেয়ার সেন্টার খুলতে পারেন।
এখানে আপনার কাজ হবে বাচ্চা দেখাশোনা করা। অনেক কর্মজীবী অভিভাবকরা তাদের
বাচ্চা দেখাশোনা করার জন্য ডে কেয়ার সেন্টারে দিয়ে আসে। এজন্য আপনি চাইলে
ডে কেয়ার সেন্টার খুলে ব্যবসা করতে পারেন।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টঃ বিয়ের অনুষ্ঠান, কর্পোরেট ইভেন্ট বা ছোট পার্টি
ইত্যাদি পরিচালনা করার জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। ইভেন্ট
ম্যানেজমেন্ট ব্যবসাটি বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
আপনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট হয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনা করার মাধ্যমে টাকা আয়
করতে পারেন।প্রথমত এখানে আপনার কোন ইনভেস্ট করতে হবে না। আপনি যাদের
অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ব্যয় করার মাধ্যমে ইভেন্ট
পরিচালনা করবেন।
নতুন অনলাইন ব্যবসা
আপনি ঘরে বসে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আমরা লাভজনক নতুন
অনলাইন ব্যবসা গুলো এখন আলোচনা করব। এই ব্যবসা গুলো করে ঘরে বসে আয় করা
যাবে। তাই যারা ঘরে বসে আয় করতে চান তারা অবশ্যই এই অংশটি মনোযোগ দিয়ে
পড়ুন।
ফ্রিল্যান্সিংঃ ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিভিন্ন সার্ভিসগুলো অনলাইনে
প্রদান করতে পারেন। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস
দেওয়া যাবে। সেখানে আপনি ক্লায়েন্টদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং সেবা
প্রদান করে ইনকাম করতে পারেন।
গ্রাফিক ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, বা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মত দক্ষতা ভিত্তিক
কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে করতে হয়। আপনার যদি উক্ত কাজগুলোতে দক্ষতা
থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবেন।
ড্রপ শিপিংঃ নিজের পণ্য স্টক না করে অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে
বিক্রয় করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এই ব্যবসাটি বর্তমানে সকলেই কমবেশি করে
আসছে। আপনি বিভিন্ন প্লাটফর্মে অনলাইন স্টোর খুলে পণ্য বিক্রয় করে ব্যবসা
করতে পারেন।
মূলত আপনার কাজ হল প্রোডাক্ট বিক্রি করা। আর এই বিক্রি করার মাধ্যম হিসেবে আপনি
অনলাইন প্লাটফর্মকে বেছে নিয়েছেন। এভাবে অনলাইনে স্টোর খুলে প্রোডাক্ট
বিক্রি করে লাভজনক ব্যবসা শুরু করা যায়।
মোবাইল সার্ভিসিং পার্টস এর ব্যবসা
ডিজিটাল যুগে সকলেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে। আর যতদিন যাচ্ছে মোবাইল ফোন
ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনার হাতে থাকা মোবাইলটি বিভিন্ন কারণে
সমস্যা বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর মোবাইল সমস্যা হলে রিপেয়ারিং করার জন্য
মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে যেতে হয়। বর্তমানে মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার এর
চাহিদা বেড়েই চলেছে।
আপনি বাজারে এগুলো দেখতেই পাবেন সকল জায়গাতেই মোবাইল সার্ভিসিং দোকান
রয়েছে। মোবাইল সার্ভিসিং করার জন্য নির্দিষ্ট পার্টস এর প্রয়োজন হয়।
অর্থাৎ মোবাইল এর কোন পার্টস এর সমস্যা হলে সেটি রিপ্লেস করে নতুন পার্টস লাগাতে
হয়। আর এই মোবাইল পার্টস এর ব্যবসাটি আপনি শুরু করতে পারেন।
আপনি পাইকারি কম দামে মোবাইল পার্টস ক্রয় করে বাজার মূল্যে বিক্রয় করবেন।
মোবাইল পার্টস এর ব্যবসা বর্তমানে খুবই লাভজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ব্যবসাটি
করলে খুব সহজেই লাখ টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন। এক কথায় লাখ
টাকা ইনকাম করার ব্যবসা হল এটি। আপনি যদি প্রতিমাসে লাখ টাকা আয় করতে চান তাহলে
মোবাইল সার্ভিসিং পার্টস এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কনটেন্ট রাইটিং করে টাকা উপার্জন
নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আপনি যদি
কনটেন্ট রাইটিং এ দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন কনটেন্ট লিখে সেগুলো বিক্রি করে
টাকা আয় করতে পারেন। কনটেন্ট বিক্রি করার প্রচুর ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন, যেখানে
আপনি কনটেন্ট রাইটিং করে অথবা কনটেন্ট বিক্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে খুব সহজে কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করা যাবে।
মানসম্মত কনটেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং করতে পারলেই বেশ ভালো পরিমাণ টাকা
ইনকাম করা যাবে। আপনার যদি এসইও সম্পর্কে জ্ঞান থাকে তাহলে হাই কোয়ালিটির
কনটেন্ট লিখতে পারবেন। সামান্য ১০০০ থেকে ২০০০ শব্দের কন্টেন্ট লিখে বিভিন্ন
প্লাটফর্ম থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
বর্তমানে বাংলা কন্টেন্ট লিখেও ইনকাম করা যাচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন সাইটে কন্টেন্ট
রাইটিং জব করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অর্ডিনারি আইটি , হতভাগা ডট কম , ট্রিকবিডি
কনটেন্ট রাইটিং জব অফার করে থাকছে। আপনি তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে কনটেন্ট
রাইটিং করার নীতিমালা গুলো দেখে নিন এবং জবের জন্য এপ্লাই করুন। তাছাড়া ও
কনটেন্ট লিখে সেটি আপনি সরাসরি বিভিন্ন সাইটে বিক্রয় করতে পারেন। ইন্টারনেটে
সার্চ করলেই সাইটগুলো পেয়ে যাবেন।
ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয়
ওয়েবসাইট বানানোর দক্ষতা থাকলে ওয়েবসাইট বিক্রি করে প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে
পারবেন। বর্তমানে অনেকেই ওয়েবসাইট বিক্রির ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করে আসছে।
প্রথমত একটি ওয়েবসাইট ভালোভাবে ডিজাইন করে তৈরি করতে হবে। ওয়েবসাইট তৈরি করার
জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করতে হয়।
সামান্য কিছু টাকা খরচ করে ডোমেন হোস্টিং ক্রয় করে ওয়েবসাইট তৈরি করুন। আর
সেখানে নিয়মিত কনটেন্ট লিখে ট্রাফিক বানানোর চেষ্টা করুন। যখন বেশি ট্রাফিক আসবে
তখন google এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। বর্তমানে একটি গুগল এডসেন্স যুক্ত
ওয়েবসাইটের দাম অধিক হয়ে থাকে।
তাছারাও গ্রাহকদের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের পছন্দমত ওয়েবসাইট বানিয়ে সেবা
প্রদান করতে পারেন। মূলত আপনার কাজ হবে ওয়েবসাইট তৈরি করে দেওয়া এবং সেগুলো
বিক্রয় করা। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে এই কাজটি ভালোভাবে করতে
পারবেন।
আপনি নিজেই ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে এডসেন্স এপ্রুভাল নিয়ে বিক্রয় করে বেশ
ভালো ধরনের ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে একটি এডসেন্স যুক্ত ওয়েবসাইটের দাম
আনুমানিক ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি নতুন ব্যবসার আইডিয়া
আপনার ব্যবসার পুঁজি যদি ৫০০০০ টাকা হয়ে থাকে তাহলে আজকের এই অংশটি ভালো করে
পড়ুন। কারন আমরা এই নিবন্ধনে ৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া গুলো
আলোচনা করব। নিম্নে ৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি নতুন ব্যবসার আইডিয়াগুলো তুলে ধরা
হলোঃ
- অনলাইনে খাবারের ব্যবসা
- চায়ের দোকান এর ব্যবসা
- জুসবার এর ব্যবসা
- ছাগলের খামার
- মোবাইল ব্যাংকিং ও রিচার্জ এর দোকান
- চাউলের ব্যবসা
- পোল্ট্রি ফার্ম
- মাছ চাষ ব্যবসা
- ফটোগ্রাফি সার্ভিস
- ই-কমার্স ব্যবসা
- অনলাইন বুটিক শপ
- ফাস্ট ফুড স্টল
- ফ্রিল্যান্স সার্ভিস
- মোবাইল এক্সেসরিজ বিক্রি
- ফুল বিক্রি ব্যবসা
- পশু খাদ্য বিক্রি
- অনলাইন কোর্স তৈরি
- বইয়ের দোকান/স্টল
- চা বা কফি স্টল
- ফ্রেশ জুস স্টল
- মোমবাতি বা সাবান তৈরি ব্যবসা
- ইউটিউব চ্যানেল শুরু করা
- বাচ্চাদের খেলনার দোকান
- লোকাল ডেলিভারি সার্ভিস
- হেলথ ড্রিঙ্ক বিক্রি
উল্লেখিত ব্যবসা গুলো মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়ে করতে পারবেন। যাদের 50 হাজার
টাকা বাজেট রয়েছে তারা এই ধরনের ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারেন। ৫০০০০ টাকা
দিয়ে এই ব্যবসা গুলো করে ব্যাপক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ব্যবসা করে সফল
হতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। আপনারা সকলে জানেন পরিশ্রমী হল সফলতার
চাবিকাঠি। ব্যবসার প্রথম থেকে পরিশ্রম করলে শেষ পর্যন্ত আপনি ব্যবসা করে সফল
হতে পারবেন।
শেষ কথা
নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেওয়ার
চেষ্টা করেছি। আপনারা নিশ্চয়ই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আমরা যে
সকল ব্যবসার আইডিয়াগুলো শেয়ার করেছি সেই ব্যবসা গুলো যদি আপনি কৌশল ব্যবহার
করে এবং পরিশ্রম করে করেন তাহলে খুব দ্রুত সফল হতে পারবেন। ব্যবসা করে সফল
হওয়ার মূলমন্ত্র হলো পরিশ্রম করা এবং সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url