১০+ গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া গুলো জানুন
গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া গুলো সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
যারা গ্রামে বসবাস করেন তারা চাইলে গ্রামেই বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে আর্থিকভাবে
সচ্ছল হতে পারেন। অনেকেই গ্রামে থাকেন কিন্তু ব্যবসা খুঁজে পান না তাদের জন্যই
আমরা গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আর্টিকেলটিতে হাজির হয়েছি। গ্রামে কোন ধরনের
লাভজনক ব্যবসা করে সফল হওয়া যায় সেই আইডিয়াগুলো নিয়েই আজকের আর্টিকেলে
বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই ব্যবসার আইডিয়া জানতে আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আপনি যদি গ্রামে বসবাস করে থাকেন সেক্ষেত্রে গ্রামে থেকেই বিভিন্ন ধরনের লাভজনক
ব্যবসা করে সফল হতে পারেন। অনেকেই গ্রামে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে প্রতি মাসে
লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে আসছে। আবার অনেকেই ব্যবসা করার চেষ্টা করছে
কিন্তু সফল হতে পারছে না, তার অন্যতম কারণ হলো সঠিক গাইডলাইন না জানা। আমরা
আর্টিকেলটিতে গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন গুলো তুলে ধরার
চেষ্টা করব যাতে করে আপনারা সহজেই গ্রামে ব্যবসা করে সফল হতে পারেন।
আর্টিকেল সূচিপত্র
১০+ গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে গ্রামে ব্যবসা করা অনেকটা সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের
থেকে আপনি সহজেই গ্রামে ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ রোজগার করতে পারবেন। গ্রামে
ব্যবসার সঙ্গে যদি শহরের ব্যবসা তুলনা করেন তাহলে একদিক দিয়ে গ্রামের ব্যবসা
অনেকটা তুলনামূলকভাবে সহজ।
আগে গ্রামে ব্যবসা করা অনেকটা কঠিন বিষয় ছিল, তবে এখন বর্তমানে ডিজিটাল
মার্কেটিং এর যুগে গ্রামে ব্যবসা করা খুবই সহজ। বর্তমানে আপনি ডিজিটাল পদ্ধতির
সাহায্যে সহজেই ব্যবসা করে টাকা রোজগার করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ সরকার অনুমোদিত ইনকাম অ্যাপ
ব্যবসা করতে হলে অনেক কিছু বিষয় মাথায় রেখে ব্যবসা শুরু করতে হয়। বর্তমান সময়ে
প্রতিযোগিতার যুগে ব্যবসা করা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে
দাঁড়িয়েছে। সকলে ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা করে থাকে, যার কারণে ব্যবসা ক্ষেত্রে এখন
প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ নতুন ব্যবসার আইডিয়া দেখুন
তবে ব্যবসাতে টিকে থাকার জন্য অবশ্যই কিছু কৌশল ও গাইডলাইনস জানতে হবে যা আমরা
আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করব। নিম্নে গ্রামের ব্যবসার আইডিয়াগুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
- মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা
- মাছ চাষ ও মুরগির ব্যবসা
- সবজির ব্যবসা
- তেলের ব্যবসা
- মাশরুম চাষ করে ব্যবসা
- কৃষি প্রোডাক্ট এর দোকান
- মোবাইল সার্ভিসিং দোকান
- মধু বিক্রির ব্যবসা
- ফার্মেসির দোকান দিয়ে ব্যবসা
- ফাস্টফুডের দোকান দিয়ে ব্যবসা
উল্লেখিত ব্যবসা গুলো লাভজনকভাবে গ্রামে করা যাবে। গ্রামে যারা লাভজনকভাবে
ব্যবসা করতে চান তারা উল্লেখিত ব্যবসা গুলো দিয়ে শুরু করতে পারেন। উপরের লিস্টে
উল্লেখিত ব্যবসা গুলো করার জন্য খুব একটা বেশি পুঁজির দরকার নেই। সামান্য বুদ্ধি
থাকলেই ব্যবসা গুলো করা যাবে। নিম্নে গ্রামের ব্যবসার আইডিয়াগুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হলো।
মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা
বর্তমানে এই ব্যবসাটি চাহিদা অনেক বেশি। মুদির দোকান দিয়ে আপনি গ্রামে লাভজনক
ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মুদির দোকানে অবশ্যই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র
মজুদ রাখতে হবে। এই ব্যবসাটি স্বল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করতে
পারেন। দোকানে সকল ধরনের খাবার ও জিনিসপত্র মজুদ রাখবেন। আর অবশ্যই
দোকানটি এমন জায়গায় ভাড়া নিবেন যেখানে প্রচুর জনসমাগম হয়,
মূল কথায় জনসমাগম এলাকায় দোকানটি ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আর সঠিক
কৌশল ব্যবহার করে ব্যবসা শুরু করুন, ব্যবসার অনেক কিছু বিষয় মাথায় রেখে
ব্যবসাটি করবেন।বিশেষ করে কাস্টমারদের বাকি দেওয়ার বিষয়ে ভাববেন।
অযথা ও অন্যথায় কাস্টমারকে বাকি দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। যদি বাকি দিতে
থাকেন তাহলে আপনারা সব পুঁজি শেষ হয়ে যাবে, আপনার ব্যবসায় তেমন লাভজনক হয়ে
উঠবে না। তাই বলবো সঠিক উপায় অনুসরণ করে ব্যবসাটি শুরু করুন।
আর মুদির দোকানে বিকাশ ও নগদ, মোবাইলে রিচার্জের ব্যবস্থা রাখবেন। এতে করে
আপনার লাভ তিনগুণ বেড়ে যাবে। আর একটা কথা অবশ্যই কাস্টমারদের সাথে ভালো
ব্যবহার করবেন। এতে করে কাস্টমার আপনার দোকানে পরবর্তীতে জিনিসপত্র ক্রয় করতে
আগ্রহী হবে।
মাছ চাষ ও মুরগির ব্যবসা
মাছ চাষ ও মুরগির ব্যবসা একত্রে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ব্যবসা দুটি
যদি একত্রে করতে পারেন তাহলে বেশ ভালো পরিমাণ প্রতি মাসে ইনকাম করা
সম্ভব। আপনার যদি গ্রামে নিজস্ব পুকুর থাকে সেখানে আপনি মাছ চাষ করতে পারেন।
আর যদি পুকুর না থাকে তাহলে গ্রামে অন্য কারোর পুকুর মাছ চাষের
জন্য বর্গা নিতে পারেন।
এক্ষেত্রে পুকুর বর্গা নিতে সামান্য কিছু টাকা খরচ হতে পারে। গ্রাম অঞ্চলে
তেমন একটা খরচ হয় না।পুকুরে অবশ্যই দেশী মাছ চাষ করার চেষ্টা করুন, এমন মাছ কখনো
চাষ করবে না যেখানে এক মাছ অন্য মাছকে খেয়ে ফেলে। পুকুরে মাছ ছারার
পূর্বে অবশ্যই এই বিষয়টিতে খেয়াল রাখবেন।
মাছের পোনা সংগ্রহের জন্য শহরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, গ্রামেই কৃষি অফিস থেকে
সংগ্রহ করে নিতে পারেন। তাছাড়াও মাছ চাষ কিভাবে করতে হয় এই সম্পর্কে
পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জন করেই মাছ চাষের দিকে ধাবিত হবেন। আর পুকুরের উপর
বাঁশের মাচা বানিয়ে সেখানে মুরগি পালন করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনার মাছের খাবারের খরচ অনেকটা কমে আসবে, কারণ মাছের অন্যতম খাবার হলো
মুরগির বিষ্ঠা। তাহলে বুঝতে পারছেন মাছ চাষ ও মুরগি পালন একত্রে অনেকটা
লাভজনক। মুরগি পালন করে একই সাথে মুরগি বিক্রয় করতে পারছেন, পাশাপাশি
মুরগির ডিম বিক্রি করে আরো লাভ করতে পারছেন। গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে
মাছ চাষ ও মুরগির ব্যবসাটি খুবই লাভজনক।
সবজির ব্যবসা করুন সফলভাবে
আপনি যদি প্রশ্ন করে থাকেন গ্রামে লাভজনকভাবে কি ধরনের ব্যবসা করা যায়,
সেক্ষেত্রে বলবো গ্রামে লাভজনকভাবে সবজির ব্যবসা শুরু করুন। সবজি এমন একটি
খাবার যার গ্রামে ও শহরে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আর এই সবজি চাহিদা নির্দিষ্ট
কোন সময় নেই, সব সময় সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সব ঋতুতেই বিভিন্ন
সবজির চাহিদা থাকে।
তাই এই সবজির ব্যবসাটি করে সবচেয়ে বেশি লাভ করতে পারেন। বর্তমানে অনেক
ব্যবসায়ীরাই ভেজালযুক্ত সবজি চাষ করে থাকে, তারা সবজি চাষ করার সময় ফরমালিন সহ
অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে থাকে। যার ফলে তাজা শাকসবজি পাওয়া অনেকটা
কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
আপনি যদি তাজা শাকসবজি চাষ করে বিক্রি করতে পারেন তাহলে বেশ লাভজনকভাবে ব্যবসাটি
করতে পারবেন। প্রত্যেকে এখন তাজা ফরমালিনমুক্ত শাকসবজি খুঁজে থাকে। আপনার
গ্রামে জমি থাকলে সেখানে শাকসবজি চাষ করার চেষ্টা করুন। গ্রামের দোকান থেকে
আপনি কম খরচেই স্যার ও কীটনাশক ক্রয় করতে পারবেন। যার ফলে বেশি একটা খরচ
হবে না।
সারা বছর চাষ করা যায় এমন সবজিগুলো ঋতুভেদে চাষ করার চেষ্টা করবেন। আর সবজি
চাষের জন্য বীজগুলো আপনি গ্রামের দোকান থেকে অথবা কৃষি কার্যালয় থেকে সংগ্রহ
করতে পারেন। সবজি চাষ করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়, সেটি হল
আবহাওয়া।
আপনি কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রতি সপ্তাহের আবহাওয়ার খবরা-খবর জেনে নিবেন। এতে
করে সবজি চাষে অনেকটা সুবিধা হবে। তাজা শাকসবজি চাষ করে অনলাইনের মাধ্যমে
বিক্রয় করে টাকা রোজগার করতে পারেন। পাশাপাশি পাইকারি বাজার বিক্রি করেও বেশ
ভালো লাভ করা যায়।
গ্রামে লাভজনকভাবে তেলের ব্যবসা করুন
গ্রামে তেলের দোকান দিয়ে লাভজনক ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। গ্রামের ব্যবসার
আইডিয়া হিসেবে নানা ধরনের তেল নিয়ে ব্যবসা করা অনেক লাভজনক হতে
পারে। তেলের চাহিদা কখনোই কমেনা, বরং দিনে দিনে তেলের চাহিদা বেড়েই
চলেছে।
আপনি যদি ভেজালমুক্ত তেল বিক্রি করে ব্যবসা করতে পারেন তাহলে আপনার তেলের
ব্যবসাটি অনেক লাভজনকভাবে করতে পারবেন। আপনি বিভিন্ন ধরনের তেল নিয়ে ব্যবসা
শুরু করতে পারেন।বর্তমানে ভেজালমুক্ত তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে
শহরের দিকে তেলের প্রচুর চাহিদা।
আপনি যদি গ্রাম থেকে তেল শহরে বাজারজাত করতে পারেন তাহলে অনেক লাভ করতে
পারবেন।বিভিন্ন ধরনের তেল নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন যেমনঃ নারিকেল তেল
, সয়াবিন তেল , সরিষার তেল।আর এই তেল গুলো আপনি অনলাইনের মাধ্যমেও সাহায্য
নিয়ে বিক্রি করতে পারেন।
মাশরুম চাষ করে ব্যবসা
বর্তমানে বাংলাদেশের মাশরুম চাষের ব্যবসাটি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ
করেছে। অনেকেই বর্তমানে মাশরুম চাষ করে কোটিপতি হয়ে যাচ্ছে। চাইনিজ
রেস্টুরেন্ট গুলোতে মাশরুমের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। বিভিন্ন খাবারের
রান্নায় মাশরুম ব্যবহার করা হয় , তাছাড়া নানা বেশি বিদেশি খাবারের
সুস্বাদু করতে এই মাশরুম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
অনেকেই মনে করেন মাশরুম চাষ করার জন্য বড় আকারের জায়গা প্রয়োজন হয়। বিষয়টা
এমন নয় আপনি ছোট জায়গাতেও মাশরুম চাষ করতে পারেন। আর আপনি যেহেতু গ্রামে
থাকেন সেক্ষেত্রে গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে মাশরুম চাষ আপনার জন্য বেশি
লাভজনক হবে।
কারণ গ্রামে আপনি বড় আকারের জায়গাতে মাশরুম চাষ করতে পারবেন। আপনার যদি নিজস্ব
জমি থাকে তাহলে সেখানে একটি ঘর বানিয়ে সেখানে মাশরুম চাষ করতে
পারেন। মাশরুম চাষ স্বল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করা যাবে।
মাশরুম চাষ করে সেগুলো আপনি দ্বিগুণ দামে রেস্টুরেন্টে অথবা অনলাইনে বিক্রয় করতে
পারেন।অনলাইনে ভালো ধরনের মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা, তাই অনলাইনে মাধ্যমে ফেসবুক
ব্যবহার করে মাশরুম বিক্রি করুন।
কৃষি প্রোডাক্ট এর দোকান
বর্তমানে গ্রাম অঞ্চলে অধিকাংশ মানুষই কৃষি কাজ করে থাকে। আর কৃষিকাজে
বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বিশেষ করে কীটনাশক , সার ও বীজের প্রয়োজন
হয়। আপনি চাইলে গ্রামাঞ্চলে কৃষি পণ্যের দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে
পারেন।
পাইকারি দামে কৃষি প্রডাক্ট গুলো কৃষকদের সাপ্লাই দিবেন।তাছাড়া কৃষি কাজের জন্য
নানা ধরনের যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়, সেগুলো আপনি দোকানে মজুদ রাখবেন।
গ্রামাঞ্চলে বাজার এলাকায় দোকান ভাড়া নিয়ে কৃষি প্রোডাক্টের দোকান খুলতে
পারেন।
মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়েই কৃষি প্রোডাক্টের দোকান খুলে ব্যবসা করা সম্ভব।
তবে পুঁজি বেশি হলে বেশি লাভজনক ব্যবসা করা যায়। গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে
এটি ভালোই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, গ্রামের কম বেশি অনেকেই এই ধরনের দোকান দিয়ে
আর্থিকভাবে সফল হচ্ছে।
মোবাইল সার্ভিসিং দোকান
গ্রামে ছোটখাটো মোবাইল রিচার্জ অথবা মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দিতে
পারেন। মোবাইল ঠিক করার দোকান দিয়ে ভালো ধরনের ব্যবসা করা
যাবে। সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান কম হয়ে থাকে।
এজন্য আপনি দক্ষ কারিগর নিয়ে মোবাইল সার্ভিসিং দোকান খুলতে পারেন। গ্রামে এই
ব্যবসাটি খুবই ভালোভাবে করা যাবে। আর অবশ্যই সার্ভিসিং দোকানে সকল ধরনের
মোবাইল পার্টস ও সরঞ্জাম গুলো সরবরাহ করে রাখবেন।
আপনারা জানেন মোবাইল যেকোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে মোবাইল
সার্ভিসিং এর চাহিদা সকল ক্ষেত্রে বেশি রয়েছে। মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসার
সাথে সাথে বিকাশ ক্যাশ আউট ও ক্যাশ ইন ব্যবসাটিও করতে পারেন। এতে করে আপনার
ব্যবসার লাভ অনেকটা বেড়ে যাবে।
মধু বিক্রির ব্যবসা-গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া
মধু খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, আর এটি অনেক উপকারী একটি খাবার। যার কারণে
মধুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে শহর অঞ্চলে মধু উপকারে জন্য সকলে খেয়ে
থাকে। আপনি যদি খাঁটি মধুর ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে সেক্ষেত্রে মধুর
ব্যবসা করে সফল হওয়া যাবে।
মধুর যেহেতু ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সেক্ষেত্রে সামান্য পুঁজি নিয়ে খাঁটি মধুর
ব্যবসা শুরু করুন। মধু আপনি অনলাইনে সহ অফলাইনের বিভিন্নভাবে বাজারে বিক্রয় করতে
পারবেন। অনলাইনে খাঁটি মধুর ব্যাপক ডিমান্ড রয়েছে,
অনেকে অনলাইন থেকে খাটি মধু ক্রয় করা চিন্তাভাবনা করে থাকে। আপনি ডিজিটাল
মার্কেটিং এর সহায়তা নিয়ে আপনার ব্যবসার প্রচার করতে পারেন। এতে করে
ব্যবসার প্রসার হবে এবং আপনি খুব দ্রুত সময়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে
পারবেন।
ফার্মেসির দোকান দিয়ে ব্যবসা
গ্রাম অঞ্চলের সাধারণত ওষুধের দোকান খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। নানা ধরনের
অসুখ-বিসুখে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে ওষুধ কেনার জন্য ফার্মেসীর
দোকানে যেতে হয়। আর গ্রাম অঞ্চলে ফার্মেসির দোকান খুব কম রয়েছে, যার কারণে
আপনি এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে ফার্মেসি দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে
পারেন।
সরকারিভাবে প্যারামেডিকেল ট্রেনিং নিয়ে ফার্মেসির দোকান খুলতে
পারেন। দোকানটি অবশ্যই জনসমাগম এলাকায় হতে হবে তাহলে ফার্মেসির দোকান দিয়ে
বেশ ভালো ধরনের ব্যবসা করা যাবে।ফার্মেসির দোকানে অবশ্যই সকল ধরনের প্রয়োজনীয়
ঔষধ সামগ্রী সরবরাহ করে রাখবেন।
প্রয়োজনে ওষুধ বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ডেলিভারি দেয়ার চেষ্টা করুন এতে করে
ব্যবসার লাভ দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। মূলত অনলাইন ডেলিভারি সার্ভিস চালু
করুন। এভাবে গ্রামের লাভজনক ব্যবসা হিসেবে ফার্মেসির দোকান খুলতে
পারেন।
ফাস্টফুডের দোকান দিয়ে ব্যবসা
গ্রাম্য এলাকায় ফাস্টফুডের দোকান নেই বললেই চলে, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে
আপনি ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ফাস্টফুডের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে
পারেন। শহরের অঞ্চলে ফাস্টফুডের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ,পাশাপাশি
বর্তমান সময়ে গ্রামেও ফাস্টফুড খাবারের চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্ধি
পাচ্ছে।
আপনার যদি আকর্ষণীয় ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার বানানো দক্ষতা থাকে তাহলে ফাস্টফুডের
দোকান দিন। বেশি কিছু জনপ্রিয় ফার্স্ট ফুড খাবার যেমনঃ বার্গার ,
কাবাব , পিজ্জা, কুকিজ ,হালিম , ফুচকা ইত্যাদি।
আকর্ষণীয় ফাস্টফুড খাবার তৈরি করে বাজার এলাকায় অথবা কোন প্রতিষ্ঠান বা জনসমাগম
এলাকায় দোকান দিয়ে বিক্রয় করতে পারেন। অল্প পুঁজিতে ফাস্টফুডের ব্যবসাটি
করতে পারবেন। শুধুমাত্র সঠিক কৌশল ও পরিশ্রম করে মানসিকতা থাকলে সফল হওয়া
যাবে।
সর্বশেষ কথা
গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত ধারণা দিয়েছি। যারা
গ্রামে থাকেন এবং ব্যবসা করার চিন্তা ভাবনা করছেন তারা অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে ধৈর্য দিয়ে পুরোটি পড়ার অনুরোধ রইলো। তাহলে ব্যবসার আইডিগুলো জেনে
গ্রামে লাভজনক ব্যবসা করে আর্থিকভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন।
অনেকেই ব্যবসা করে এখন সাংসারিক জীবন যাপন শুরু করেছে। আপনি যদি বেকার
হয়ে থাকেন এবং ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকে তাহলে ভালোভাবে ব্যবসার আইডিগুলো জেনে ও
কৌশল ব্যবহার করে ব্যবসা শুরু করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url