কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন: টপ ১০ বিশ্বস্ত উপায়
কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন পেমেন্ট নিন সেরা কিছু উপায়ে। প্রিয় বন্ধুরা
আপনারা কি জানেন অনলাইনে কাজ না করেও ইনকাম করা যায়। যদি বিষয়টি সম্পর্কে না
জেনে থাকেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন
পেমেন্ট নেওয়ার উপায় গুলো জেনে নিন। কারণ বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে উপার্জন
করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই কাজ না করেও ফ্রিতে
বিনামূল্যে আয় করতে পারেন।
বর্তমানে আধুনিক যুগে কাজ না করেও বিনিয়োগ ছাড়াই বিভিন্ন সাইট থেকে টাকা
উপার্জন করতে পারেন। এছাড়া অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করে বিভিন্ন সাইট
থেকে বিনামূল্যে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারেন।। কাজ না করে কিভাবে ইনকাম করা
সম্ভব বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে মনোযোগ দিয়ে পড়তে
থাকুন।
.
কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন
অনলাইন থেকে ইনকাম করার অনেক বৈধ উপায় আছে, যেখানে সরাসরি কাজ না করেও আপনি
প্যাসিভ ইনকাম তৈরি করতে পারেন। কাজ না করে ইনকাম করাকে সাধারণত প্যাসিভ ইনকাম
বলা হয়ে থাকে। প্যাসিভ ইনকাম হল কাজ না করেই অটোমেটিক টাকা ইনকাম হওয়া।
বর্তমান সময়ে প্যাসিভ ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে, আপনি সেই উপায় গুলো অনুসরণ
করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। প্রতিদিন কাজ না করেই আপনি প্যাসিভ
ইনকাম করতে পারেন। এমন অনেক উপায় রয়েছে যেখানে কাজ করতে হয় না, প্রথমদিকে
হয়তো সামান্য কাজ করতে হয়,
এরপর থেকে কাজ না করেই ইনকাম হতে থাকে। আপনারা যারা ঘরে বসে কাজ না করে
বিনামূল্যে টাকা উপার্জন করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আর্টিকেলটির প্রতিটি অংশ
গুরুত্বপূর্ণ সহকারে পড়বেন।কারণ আমরা আর্টিকেলে কাজ না করে ইনকাম করার কয়েকটি
জনপ্রিয় পদ্ধতির কথা উল্লেখ করব।
কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন পেমেন্ট নিন
বিনামূল্যে কাজ না করে ইনকাম করার একাধিক উপায় রয়েছে, এর মধ্যে আমরা কিছু সহজ
উপায় তুলে ধরব। বর্তমান সময়ে অনলাইনে কাজ করে অথবা কাজ না করেই
বিভিন্নভাবে ইনকাম করা সম্ভব। মূলকথা হলো এই আধুনিক যুগে সব কিছুই সম্ভব, যদি
আপনি সঠিক ভাবে করেন।
আরো পড়ুনঃ লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট
অনলাইনে হাজার হাজার ইনকাম করার উপায় রয়েছে যেখানে আপনি উপায়গুলো অনুসরণ করে
টাকা উপার্জন করতে পারেন। আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কম কাজ করে ইনকাম করার
চিন্তাভাবনা করে থাকি, এক্ষেত্রে আপনারা কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন
পেমেন্ট উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশি অ্যাপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়
বিনামূল্যে বিভিন্ন সাইট বর্তমানে ইনকাম করা সুযোগ দিয়ে থাকে, সেই সাইটগুলোতে
অনেক সময় বেশি কাজ করে ইনকাম করতে হয়। আবার কাজ না করেই সেই সাইট থেকে ইনকাম
করা যায়। তবে চলুন নিম্নে কাজ না করে ইনকাম করার উপায় গুলো বিস্তারিত জেনে
নেয়া যাক।
- ইউটিউব চ্যানেল (YouTube) খুলে মনিটাইজেশন
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) করে ইনকাম
- ই-বুক বা কোর্স বিক্রি (E-book/Course Selling)
- ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে আয় (Blogging)
- স্টক ফটো বিক্রি (Selling Stock Photos)
- বাইনান্স এক্সচেঞ্জার থেকে টাকা ইনকাম
- ইনভেস্টমেন্ট সাইটে টাকা ইনভেস্ট করে ইনকাম
- ক্রিপ্টোকারেন্সি বা শেয়ার মার্কেট বিনিয়োগ
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট (App Development)
- ড্রপশিপিং বিজনেস করে ইনকাম
- NFT তৈরি ও বিক্রি
- প্যাসিভ ইনকাম অ্যাপস ব্যবহার করে ইনকাম
- ফ্রিল্যান্স রেফারেল প্রোগ্রাম থেকে ইনকাম
- ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা ইনকাম
ইউটিউব চ্যানেল (YouTube) খুলে ইনকাম
কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন পেমেন্ট নিন ইউটিউব চ্যানেল খুলে। আপনারা হয়তো
জানেন বর্তমানে youtube চ্যানেল খুলে বিভিন্নভাবে ইনকাম করা সম্ভব। আপনি নিজের
একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করে আয় করতে পারেন।
একবার ভিডিও আপলোড করলে, সেটা বারবার ভিউ হলে ইনকাম হতে থাকে। এভাবেই ইউটিউব
চ্যানেল খুলে সেখানে অনেকদিন পর পর একটি করে ভিডিও আপলোড করে প্যাসিভ ইনকাম করা
সম্ভব। এখানে আপনাকে প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করতে হচ্ছে না,
আপনার youtube চ্যানেলে থাকা আগের পুরাতন ভিডিওতে বারবার ভিউ হওয়ার কারণে ইনকাম
হতে থাকবে। এভাবে কিছুদিন কাজ না করে ইউটিউব চ্যানেল খুলে আয় করা
সম্ভব। youtube চ্যানেল থেকে যদি আয় করতে চান সেক্ষেত্রে মনিটাইজেশন নিতে
হবে। ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকামের উৎস গুলো হলঃ
- বিজ্ঞাপন (Adsense)
- স্পন্সরশিপ
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
উল্লেখিত মাধ্যমে ইউটিউব থেকে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। তবে আপনি যদি
ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে চান, সেক্ষেত্রে trending টপিক নিয়ে তথ্যবহুল
ভিডিও তৈরি করুন। এতে করে ভিডিওতে প্রচুর ভিউজ পাবেন, আর আপনার আনলিমিটেড
ইনকাম হতে থাকবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) করে ইনকাম
কাজ না করে অনলাইন থেকে ইনকাম করা আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হল অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং। এই পদ্ধতিতে প্রতিদিন কাজ না করেও অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব। আপনি
বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের পণ্য পণ্য প্রমোট করে কমিশন আয় করতে
পারেন।
মূলত আপনার কাজ হবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো অনলাইনে
প্রচার করা এবং প্রমোশন করে দেওয়া। যাতে করে তাদের প্রোডাক্ট দ্রুত বিক্রি হয়
এবং কাস্টমার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারে।
আপনি যদি এই কাজটি ভালো করে করতে পারেন তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সারা
জীবন প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। এখানে একটা বিষয় হল আপনার প্রমোট করা লিংক
থেকে গ্রাহকরা পণ্য ক্রয় করলে, সেখান থেকে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।
এভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম হয়ে থাকে।
যার ফলে এখানে আপনি রেগুলার কাজ না করেও ইনকাম করতে পারেন। বিভিন্ন ই-কমার্স
প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের প্রোডাক্টগুলো প্রমোশন করে কমিশন নিয়ে আয় করতে পারেন।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যেমনঃ Amazon, Daraz, Click Bank, daraz,
evaly ইত্যাদি।
কোথায় এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন
- ব্লগ
- সোশ্যাল মিডিয়া
- ইউটিউব
উল্লেখিত প্লাটফর্মে এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে প্রোডাক্ট প্রমোশন করতে
পারেন।
ই-বুক বা কোর্স বিক্রি (E-book/Course Selling)
যদি কোনো বিষয়ে আপনার ভালো জ্ঞান থাকে, তাহলে ই-বুক লিখে বা কোর্স তৈরি করে তা
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন। এভাবে অনেকেই ই-বুক রাইটিং করে
অনলাইনে বিক্রয় করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। পাশাপাশি কোন বিষয়ে ভালো
অভিজ্ঞতা থাকলে সেই বিষয়টি নিয়ে কোর্স তৈরি করে অনলাইন থেকে আয় করতে
পারেন।
এই পদ্ধতিতে আপনি প্রতিদিন কাজ না করেই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে
পারবেন। কারণ একবার কোর্স তৈরি করা হয়ে গেলে সেই কোর্সটির ভিডিও বিভিন্ন
জনের কাছে বিক্রয় করে আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে নতুন করে আর কষ্ট করে
ভিডিও বানাতে হচ্ছে না। যার ফলে বলা যায় ই-বুক রাইটিং বা কোর্স বিক্রি
করে কাজ না করে ইনকাম করা সম্ভব।
কোর্স বিক্রি করে আপনি সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে কাস্টমারের কাছ থেকে পেমেন্ট
নিতে পারেন।তাছাড়া অন্য পেমেন্ট পদ্ধতি সেট করে রাখুন। আপনি যদি একবার
হাই কোয়ালিটির কোন বিষয়ে কোর্স তৈরি করতে পারেন তাহলে দীর্ঘদিন ধরে সেই কোর্স
থেকে আয় করতে পারবেন। কোর্স বিক্রি করার প্লাটফর্ম হিসেবে সোশ্যাল
মিডিয়া সাইট ব্যবহার করুন।
আরো কোর্স বিক্রির প্লাটফর্ম রয়েছে যেমনঃ
- Amazon Kindle
- Udemy
- Youtube
- Gumroad
ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে আয় (Blogging)
কাজ না করে ইনকাম করার কথা ভাবছেন, তাহলে ব্লগিং এর কথা চিন্তা করতে
পারেন। কারণ ব্লগিং করেই সহজে অনলাইনে কাজ না করে ইনকাম করা
সম্ভব। আপনি নিজের একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে গুগল অ্যাডসেন্স,
স্পন্সরশিপ এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
এক্ষেত্রে প্রথম দিকে হয়তো কিছুটা বেশি পরিশ্রম করতে হবে, তাহলে ব্লগিং শুরু
করে সফল হতে পারবেন। ব্লগিংয়ের শুরুতে প্রথম দিকে অধিক পরিশ্রম করে
প্রতিদিন কনটেন্ট লিখতে হয়। আর প্রতিদিন কনটেন্ট পাবলিশ করার মাধ্যমে
ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি করতে হয়।
আর একবার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বেড়ে গেলে আপনি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন
দেখিয়ে আয় করতে পারবেন। যদি আপনার ওয়েবসাইটে google এডসেন্স অনুমোদন পেয়ে
যান, সেক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন কনটেন্ট না লিখেও ব্লগিং করে আয় করতে
পারেন। ব্লগিং মূলত প্যাসিভ ইনকাম এর অন্যতম সোর্স। কারণ এখানে কাজ না করে
ইনকাম করা সম্ভব।
আপনি এখানে প্রতিদিন কাজ না করেও রেগুলার ইনকাম জেনারেট করতে
পারবেন। তাই সেক্ষেত্রে বলবো বেশি কাজ না করে ইনকাম করতে চাইলে ব্লগিং
শুরু করতে পারেন। তবে আপনি যদি প্রতিদিন কাজ করেন সেক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ
আয় করতে পারবেন এই ব্লগিং করে।
ব্লগিং ওয়েবসাইটে কি কি লিখতে পারেনঃ
- রিভিউ আর্টিকেল
- টেক গাইড
- ট্রেন্ডি টপিক
- অনলাইন ইনকাম
- রান্না সম্পর্কে
- স্বাস্থ্য বিষয়
- খেলাধুলা
- নিউজ বিষয়গুলো
উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে আপনি ব্লগিং সাইটে লেখালেখি করতে
পারেন। যেমন আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন ইনকাম বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত
আর্টিকেল লেখা হয়ে থাকে। উল্লেখিত বিষয়গুলোর মধ্যে আপনি কোন বিষয়ে
পারদর্শী সেই বিষয়টি নিয়ে ব্লগিং সাইটে আর্টিকেল লেখালেখি করুন, তাহলে
খুব দ্রুত সময়ে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
স্টক ফটো বিক্রি (Selling Stock Photos)
আপনি যদি ফটোগ্রাফি করতে পারেন, তাহলে photography করেই ছবিগুলো স্টক ফটো
সাইটগুলোতে বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। ইন্টারনেট অনেক ফটো
বিক্রি করার সাইট রয়েছে। যেখানে স্টক ফটো বিক্রি করে কিছু টাকা আয় করতে
পারেন।
স্টক ফটোগ্রাফি সাইটে যদি ফটোগ্রাফি ছবি আপলোড করে দেন তাহলে সেখানে আপনার
ফটোগ্রাফি ছবি অনেকেই ক্রয় করতে পারে, যতবার ক্রয় হবে ততবার আপনি আয় করতে
পারবেন। বর্তমানে বেশ কিছু জনপ্রিয় ফটোগ্রাফি সাইট হলঃ
- Shutterstock
- Adobe Stock
- Getty Images
উল্লেখিত ওয়েব সাইটে ছবি আপলোড করে আয় করতে পারেন। তবে ছবি কোয়ালিটি
ইউনিক এবং ছবিটি অরজিনাল হতে হবে।
Binance এক্সচেঞ্জার থেকে টাকা ইনকাম
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো কারেন্সি এক্সচেঞ্জার প্ল্যাটফর্ম হল
Binance। Binance এক্সচেঞ্জার অ্যাপ্লিকেশনে আপনি বিভিন্নভাবে অনলাইনে টাকা
আয় করতে পারবেন। তাছাড়াও এই বাইনান্স অ্যাপ্লিকেশনে বিভিন্ন কারেন্সির
কয়েন কিনে জমা রাখার মাধ্যমে কোন কাজ করা ছাড়াই টাকা আয় করতে পারেন।
এখানেও আপনি ব্যাংকের মতো কয়েন জমা রেখে অনলাইনে ফ্রিতে ইনকাম করতে পারবেন।
তবে এই এক্সেনজার প্লাটফর্মে কয়েক stake করে খুব কম পরিমাণে আয় করা যায়।
তবে আপনার কয়েন জমার পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে এখান থেকে আপনি বেশি টাকা আয়
করতে পারবেন।
এখানে আপনাকে কোন কাজ করতে হচ্ছে না শুধুমাত্র ভার্চুয়াল কয়েন একাউন্টে জমা
রেখে দিচ্ছেন। আর প্রতিদিন আপনাকে সেই কয়েনের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ
দেওয়া হচ্ছে। বাইনান্স থেকে আয় করার জন্য Earn অপশনে ক্লিক করুন। এবার
আপনার একাউন্টে থাকা কয়েন গুলো আর্ন অপশনে জমা রেখে দিতে হবে।
তবে সেক্ষেত্রে আপনার একাউন্টে কিন্তু ভার্চুয়াল কয়েন থাকতে হবে। তাই
আপনাদের কিছু কয়েন ক্রয় করতে হবে বাইনান্স এক্সচেঞ্জার থেকে। সেক্ষেত্রে
আপনাকে এই প্ল্যাটফর্মে টাকা ইনভেস্ট করতে হচ্ছে। এভাবে আপনি টাকা ইনভেস্ট
করে কোন কাজ না করেই অনলাইনে টাকা আয় করতে পারেন।
ইনভেস্টমেন্ট সাইটে টাকা ইনভেস্ট করে ইনকাম
ইনভেস্টমেন্ট করে ইনকাম করার হাজার হাজার সাইট রয়েছে, আপনি সেই সাইটগুলোতে
ডলার ইনভেস্ট করে কাজ না করে কোন পরিশ্রম ছাড়াই আয় করতে পারেন। আপনি
ইন্টারনেটে সার্চ করলে এই ধরনের সকল সাইটগুলো পেয়ে যাবেন। তাই আমরা
ইনভেস্টমেন্ট সাইটের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করছি না।
ইনভেস্টমেন্ট করে কিভাবে ইনকাম করা যায়
ইতিমধ্যে আমরা সেই সম্পর্কে অন্য একটি আর্টিকেলে জানিয়ে
দিয়েছি। তবে বলে রাখি অনেক ইনভেস্টমেন্ট সাইট পাবেন যেখানে কোন ধরনের কাজ
করতে হয় না, শুধুমাত্র ইনভেস্ট করবেন এবং আপনার একাউন্টে অটোমেটিক কমিশন যোগ
হতে থাকবে।
অর্থাৎ লাভের পরিমাণ যোগ হবে। এভাবে ইনভেস্টমেন্ট সাইট থেকে কাজ না করে আয়
করতে পারেন। যাদের ইনভেস্ট করার ইচ্ছা রয়েছে তারা এই পদ্ধতিতে কাজ না করে
ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন পেমেন্ট নিতে পারেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বা শেয়ার মার্কেট বিনিয়োগ
ক্রিপ্টোকারেন্সি, শেয়ার মার্কেট বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে প্যাসিভ
ইনকাম করতে পারেন। তবে ক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। এই সেক্টরে
বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই গবেষণা করতে হবে, অর্থাৎ বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে
জেনে তারপরে ইনভেস্ট করে ইনকাম করার চিন্তাভাবনা করা উচিত।
যদি আপনি শেয়ার মার্কেট অথবা ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট সম্পর্কে অবগত
হয়ে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে এই সেক্টরে টাকা বিনিয়োগ করে ইনকাম করতে
পারেন। যেকোনো প্লাটফর্ম টাকা বিনিয়োগ করার পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
আর প্লাটফর্ম গুলো সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখুন।
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট (App Development)
একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে তা গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে, গুগল অ্যাডসেন্স বা
ইন-অ্যাপ পারচেসের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। আপনার যদি প্রোগ্রামিং করার
দক্ষতা থাকে, তাহলে একটি আকর্ষণীয় অ্যাপ তৈরি করুন এবং সেটি গুগল প্লে স্টোরে
আপলোড করুন।
আর অবশ্যই অ্যাপসটিতে গুগল এডসেন্স অনুমোদন নিয়ে নিন। এরপর কোন ব্যক্তি
আপনার সেই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করলে আপনার
অটোমেটিকালি ইনকাম হতে থাকবে।
এছাড়াও আকর্ষণীয় অ্যাপস তৈরি করে সেটি বিক্রি করার মাধ্যমেও আয় করতে
পারেন। যেমন ধরুন গেমের অ্যাপ গুলো বর্তমানে বিক্রি করা হয়ে থাকে।
আকর্ষণীয় গেমিং অ্যাপ তৈরি করুন এবং গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে পারচেসের
মাধ্যমে ইনকাম করুন।
ড্রপশিপিং বিজনেস করে ইনকাম
ড্রপশিপিং এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনাকে পণ্য মজুদ রাখতে হয় না। কাস্টমার
অর্ডার করলে সরাসরি সাপ্লায়ার পণ্য পাঠিয়ে দেয় অথবা ডেলিভারি করে
থাকে। এখানে আপনার কাজ হলেও অর্ডার গ্রহন করা।
আপনি বিভিন্নভাবে মার্কেটিং করে কাস্টমার অর্ডার নিবেন, আর অর্ডার সাপ্লাইয়ের
কাছে পৌঁছে দিবেন ।প্রোডাক্ট সাপ্লাইয়ার এখন অর্ডারটি কাস্টমারের বাড়িতে
পৌঁছে দেবে এবং আপনি সেই অর্ডারটি নেওয়ার বিনিময়ে সাপ্লায়ার এর কাছে থেকে
নির্দিষ্ট কমিশন নিয়ে আয় করতে পারবেন।
ড্রপ শিপিং করার ওয়েবসাইট যেমনঃ
- Shopify
- WooCommerce
- Daraz
- Bikroy
- Amazon
- Flipkart
NFT তৈরি ও বিক্রি করে ইনকাম
বর্তমানে আধুনিক যুগে ডিজিটাল আর্ট, মিউজিক বা ভিডিও ক্লিপ NFT হিসেবে
বিক্রি করে আয় করার সুযোগ রয়েছে। অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যারা NFT
তৈরি করে বিক্রয় করে থাকে। আবার তারা NFT ক্রয় পর্যন্ত করে
থাকে। আপনার যদি NFT তৈরি করা দক্ষতা থাকে তাহলে সেটি বানিয়ে
বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে আয় করতে পারেন।
প্যাসিভ ইনকাম অ্যাপস ব্যবহার করে ইনকাম
বর্তমানে অনেক অ্যাপস রয়েছে যেখানে কাজ না করে ইনকাম করা সম্ভব। এখানে
আপনি মূলত প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। শুধুমাত্র অ্যাপ একাউন্ট খুলে
রেখে দিতে হবে তাহলেই নির্দিষ্ট সময় পর পেমেন্ট পাবেন। এই ধরনের অনেক
প্যাসিভ ইনকাম অ্যাপস রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করতে পারেন যেমনঃ
- Honeygain
- Sweatcoin
- Wild Cash
- Blum
- Pi-Network
শেষ কথাঃ কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন
১০টি উপায়ে কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন পেমেন্ট কিভাবে নিতে
পারেন এই সম্পর্কে আর্টিকেলে এ টু জেড বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কোন
পদ্ধতি আপনার বেশি ভালো লাগছে? আপনি কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আর
যদি কাজ না করে ইনকাম করার বিষয়টি সম্পর্কে আরো কিছু প্রশ্ন থাকে তাহলে
কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করুন, আমরা দ্রুত সময়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা
করব।
আশা করছি আপনারা বিনামূল্যে কাজ না করে আয় করার উপায় জেনে গেছেন।
সঠিকভাবে উপায় গুলো অনুসরণ করে কাজ করুন নিশ্চয়ই ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
অনলাইনে ইনকাম করার একটা শর্ত সেটি হল পরিশ্রম করা। প্রথমদিকে হয়তো আপনাকে
প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে, এরপর আপনার ইনকাম শুরু হলে, তখন পরিশ্রম না করলেও
কাজ না করে প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন।