কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়? (সেরা ১১টি)

কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়ঃ অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো মোবাইল ফোনে ইন্সটল করে কিছু কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকাম করা খুবই সোজা, কারণ বর্তমানে হাজার হাজার অ্যাপস তৈরি হয়েছে, যেগুলো কিছুটা কাজ করার বিনিময়ে আমাদের ইনকাম করার সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনি যদি সেই ধরনের অ্যাপস গুলো ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই অনলাইন থেকে উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়? এই প্রশ্নের উত্তরটি জানার জন্য সকলকে আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়া অনুরোধ রইল। 
কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
বর্তমানে ইন্টারনেটে সফটওয়্যারতো অনেক রয়েছে, তবে কোন সফটওয়্যার দিয়ে বিশ্বস্তভাবে ইনকাম করা যায় সেটি বলা সহজেই সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি প্রতিটি ইনকাম করার সফটওয়্যার এর রিভিউ এবং ফিডব্যাক দেখেন তাহলে অবশ্যই ইনকাম করা সফটওয়্যারটি নির্বাচন করতে পারবেন। এজন্য আমাদের সাজেশন হল আপনারা সর্বপ্রথম সফটওয়্যার গুলোর ফিডব্যাক যাচাই-বাছাই করবেন। 

তবুও আমরা আপনাদের কথা বিবেচনা করে আর্টিকেলটিতে বিশ্বস্ত অনলাইন ইনকাম করার সফটওয়্যার সম্পর্কে আলোচনা করব, যেখানে আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করতে পারেন।  
সূচিপত্র

কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়? 

বন্ধুরা অনলাইনে ইনকাম করার প্রচুর সফটওয়্যার রয়েছে, যদি আপনার অনলাইন থেকে ইনকাম করার ইচ্ছা থাকে তাহলে সেই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে পারেন। অযথা সময় নষ্ট না করে, বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইনকাম করার চেষ্টা করুন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সফটওয়্যার তৈরি হচ্ছে, যেগুলো আমাদের ইনকাম করার সুযোগ দিয়ে থাকে। 
প্রতিটি সফটওয়্যার নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকে, সেই নীতিমালা অনুযায়ী যদি আপনি কাজ করেন তাহলে সেই সফটওয়্যার থেকে আয় করতে সক্ষম হবেন। নতুন নতুন সফটওয়্যার গুলো সাধারণত নিজের লাভ করে এবং অন্যদের লাভ করার সুযোগ দেয়। এছাড়াও কিছু অ্যাপ রয়েছে যেখানে টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম করা যায়। 
সেখানে আপনাকে অবশ্যই বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে হবে তাহলেই আয় করতে পারবেন। তবে নতুন নতুন তৈরি হওয়া কিছু রয়েছে যেগুলোতে ফ্রিতে অর্থাৎ বিনামূল্যে কাজ করার সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনি তাদের ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের মাইক্রো ট্যাক্স সম্পন্ন করে দিবেন, এর ফলে আপনি তাদের কাছ থেকে বিকাশে বা নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। 

কোন সফটওয়্যার দিয়ে বর্তমানে ইনকাম করা সম্ভব এই সম্পর্কে জানানোর জন্যই আমার আর্টিকেলে হাজির হয়েছি। তাই সর্বশেষ বলব কোন সফটওয়্যার দিয়ে ইনকাম করা যায় সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। 

টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় ১১টি সফটওয়্যার 

টাকা ইনকাম করার অনেক সফটওয়্যার রয়েছে। তবে আমরা এখন টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এমন অনেক অ্যাপস রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনারা টাকা ইনকাম করতে পারেন। 

সেই সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে আজকে পরিচয় করিয়ে দেবো। টাকা ইনকাম করা এই সফটওয়্যারগুলোতে কাজ করার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন নেই, প্রযুক্তিতে বা ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ হলেই এই সকল সফটওয়্যার থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

টাকা ইনকাম সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করেছে। আপনার যদি ইনকাম করার ইচ্ছা থাকে তাহলে আজকের নিবন্ধনটি গুরুত্ব সহকারে পড়ুন। চলুন নিম্নে টাকা ইনকাম করা সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে জেনে আসি। 
  • Adobe Photoshop
  • Canva
  • YouTube
  • TikTok 
  • Upstox, eToro, Binance
  • GitHub
  • Microsoft Excel
  • Google AdSense
  • ClickBank
  • Fiverr
  • WordPress

টাকা ইনকাম করার সফটওয়্যার হল Adobe Photoshop

টাকা ইনকাম করার এই জনপ্রিয় সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে লোগো ডিজাইন ,ব্যানার ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন , অ্যানিমেশন ডিজাইন ইত্যাদি কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন করে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আয় করা যাবে। 

আপনারা অনেকেই গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে আয় করার কথা ভেবে থাকেন। তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য নির্দিষ্ট সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হয়। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন করার সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার হল Adobe Photoshop। এটি ব্যবহার করে অনায়াসেই গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ কমপ্লিট করা যায়। 

যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করে আয় করার চিন্তা ভাবনা থাকে তাহলে এই সফটওয়্যারটি নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারেন। ফটোশপ সফটওয়্যারটিতে প্রচুর ফিচার রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে যেকোন ধরনের গ্রাফিক্স সম্পর্কিত কাজগুলো করা যাবে। 

কিভাবে কাজ করবেন? 
  • সর্বপ্রথম কম্পিউটারে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন। 
  • এরপর আপনার কাজ হল সফটওয়্যারটি সকল টুলস গুলো সম্পর্কে জানা।
  • ফটোশপ সফটওয়্যারটির সকল টুলস সম্পর্কে জেনে নিবেন।
  • ইউটিউবের মাধ্যমে শিখে নিন কিভাবে ফটোশপ দিয়ে কাজ করা যায়।
  • ফ্রিতে এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা যায়, তাই সরাসরি গুগল প্লে স্টোরে সাপোর্টের নাম লিখে সার্চ করুন।
আয় করার উপায়ঃ 
  • প্রথমত ফটোশপ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ শিখতে হবে।
  • এরপর গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ সম্পর্কে পরিপূর্ণ দক্ষতা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে একাউন্ট খুলুন।
  • জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মঃ Fiver ,Upwork ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলে গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ এর খোঁজ করুন।
  • ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে নিজের প্রোফাইল সঠিক ভাবে সেটআপ করুন। 
  • আপনি যে গ্রাফিক্স ডিজাইন জানেন সেটি ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইলের এর মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করুন।
পেমেন্ট পদ্ধতি
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করে সহজেই বিভিন্ন মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারেন। এখানে পেমেন্ট নেওয়ার পর অনেক মাধ্যম রয়েছে। যেমনঃ পেপাল , পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার মাধ্যমে ডলার পেমেন্ট নিতে পারবেন। 

কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় (Canva) 

সহজেই ডিজাইন করে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে আয় করতে পারেন। ফটোশপের পরে সবচেয়ে সহজ উপায়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করা সফটওয়্যার হলেও ক্যানভা। এই সফটওয়্যারটির ইন্টারফেস অনেক সোজা, 

আপনি যদি একবার দেখেন তাহলে সহজেই এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে ডিজাইন করতে পারবেন।ছোটখাটো গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করার জন্য এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা যেতে পারে। 

যারা নিম্নমানের কপি ডিজাইন কাজ সম্পন্ন করতে চান তারা এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। সফটওয়্যারটির প্রিমিয়ার ভার্সন রয়েছে, প্রিমিয়াম ভার্সনে অনেক ফিচার রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে সহজেই বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন সম্পন্ন করা যায়।

আয় করার উপায়ঃ 
  • পোস্টার, লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট তৈরির মাধ্যমে ক্লায়েন্টের কাজ করে আয় করতে পারেন। 
  • যেকোনো সাধারণ ডিজাইন তৈরি করে ক্লাইন্টদের সেবা দান করে লোকাল মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে পারেন।
  • আয় করার একমাত্র উপায় হলঃ পোস্টার ডিজাইন , লোগো ডিজাইন , ব্যানার ডিজাইন , টি শার্ট ডিজাইন ইত্যাদি।
পেমেন্ট পদ্ধতিঃ
ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে কাজ করলে ডলারে পেমেন্ট পাবেন। আর ডলারের পেমেন্ট পাওয়ার জন্য ব্যাংক ট্রান্সফার মাধ্যমটি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ও লোকাল মার্কেট প্লেসে কাজ করলে ডাইরেক্ট বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারেন।

টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় সফটওয়্যার (YouTube)

ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে আয় করার কথা ভাবছেন, তাহলে ইউটিউব সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। যদি বর্তমানে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ উপায় কথা বলেন, তাহলে সেটি হবে ভিডিও কনটেন্ট। 

বিভিন্ন ধরনের ইউনিক ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করুন, আর সেই ভিডিও কনটেন্ট গুলো ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করুন। আর নির্দিষ্ট সময় পর আপনার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে ট্রাফিক সংখ্যা বাড়তে থাকলে youtube এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ইউটিউবে এডসেন্স অনুমোদন নিয়ে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে প্রচুর ডলার আয় করতে পারবেন। 

এই উপায়ে ইউটিউব থেকে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ টাকা উপার্জন করছে। এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানলে ইউটিউব চ্যানেলটি ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন। 

কিভাবে আয় করবেন
  • ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে আয় করতে পারেন
  • প্রফেশনাল কনটেন্ট তৈরি করে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে পারেন।
  • রিভিউ কন্টেন্ট বানিয়ে আয় করতে পারেন। 
  • প্রোডাক্ট প্রমোশন করে দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে পারেন।
  • বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব মনিটাইজেশন থেকে আয় করতে পারেন।
  • স্পনচরশীপ এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
এভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করা সম্ভব। আপনি নিজের একটি প্রফেশনাল youtube চ্যানেল খুলুন। ফ্রিতে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়। ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করুন। তাহলে আপনি এই ইউটিউব সফটওয়্যারটি থেকে ভালো পরিমান অনলাইন আর্নিং করতে পারবেন।

অনলাইনে ইনকাম করার সফটওয়্যার (TikTok)

Tiktok সফটওয়্যার ব্যবহার করে স্পন্সরশিপ, ব্র্যান্ড ডিল, এবং লাইভ গিফটের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আপনি tiktok সফটওয়্যারটি মোবাইল ফোনে অথবা কম্পিউটার ইন্সটল করে ব্যান্ড প্রমোশন ও অন্যান্য কাজগুলো করে উপার্জন করতে পারেন। এখানে টিকটকে শর্ট ভিডিও আপলোড করতে হয়। 

শর্ট ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে নিজের tiktok ফলোয়ার বৃদ্ধি করতে হয়। যদি আপনার tiktok ফলোয়ার বেশি থাকে তাহলে সেই টিক টক আইডি দিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্যান্ড প্রমোশন , প্রোডাক্ট প্রমোশন ও লাইভ ইভেন্ট পরিচালনার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারেন।

আয় করার উপায়ঃ 
  • নিয়মিত শর্ট ভিডিও আপলোড করে টিকটকে নিজের ফলোয়ার বৃদ্ধি করুন। 
  • এরপর প্রোডাক্ট প্রমোশন ও ব্যান্ড প্রমোশন করে দিয়ে আয় করতে পারেন।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে টিকটক থেকে আয় করা যাবে।
  • তাছাড়া সরাসরি গিফট নিয়ে টিকটক কোম্পানি থেকে আয় করতে পারেন।

স্টক মার্কেট সফটওয়্যার দিয়ে ইনকাম (Binance) 

যারা স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে আয় করার কথা ভাবছেন, তারা চাইলে এই বাইনান্স ক্রিপ্টোকারেন্সি সফটওয়্যার ইনভেস্ট করে আয় করতে পারেন। মূলত এখানে আপনাকে টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি কয়েন ক্রয় করতে পারবেন। এরপর কয়েনের দাম বৃদ্ধি পেলে সেগুলো বিক্রি করে মুনাফাপাওয়ার জন্য করতে পারবেন। 

বর্তমানে এই সফটওয়্যারটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা ট্রেডিং করেন তাদের জন্য এই সফটওয়্যারটি বেশ জনপ্রিয়। মূলত এটি একপ্রকার অনলাইন ট্রেডিং সফটওয়্যার। বিনিয়োগ করে আয় করার ইচ্ছা থাকলে এই ট্রেডিং সফটওয়্যারে টাকা বিনিয়োগ করে ট্রেডিং করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন 

আয় করার উপায়
  • অনলাইন ট্রেডিং করে ইনকাম করা যাবে। 
  • বিভিন্ন কারেন্সির কয়েন কিনে জমা রেখে আয় করতে পারবেন।
  • বিভিন্ন টাস্ক সম্পূর্ণ করে এই সফটওয়্যার থেকে আয় করা যাবে।
  • ডিজিটাল কয়েন ক্রয় বিক্রয় করে ইনকাম করতে পারেন।
পেমেন্ট পদ্ধতি
বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও রকেট ,উপায় , পেপাল ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিতে পেমেন্ট নিতে পারেন। 

ডলার ইনকাম করার সফটওয়্যার (GitHub) 

ফ্রিল্যান্সিং প্রজেক্ট কাজের জন্য এই সফটওয়্যারটি খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে যারা ওয়েব ডেভলপার বা অ্যাপ ডেভলপার রয়েছেন তাদের জন্য GitHub প্ল্যাটফর্ম ও সফটওয়্যারটি বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। 

কারণ এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট সম্পন্ন করা যায়। যারা ডেভলপার রয়েছে তারা এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং কাজের প্রজেক্ট সম্পন্ন করে ইনকাম করে থাকে। যারা ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করেন তারা এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। 

ইনকাম করার উপায়
  • ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
  • এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন কোডিং কাজ সম্পন্ন করে আয় করা যায়।
  • এই সফটওয়্যার এর সাহায্য নিয়ে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে আয় করতে পারেন।

সফটওয়্যার দিয়ে ইনকাম করার উপায় (Microsoft Excel) 

এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডাটা এন্ট্রি ও ডাটা অ্যানালাইসিসের কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। আপনারা হয়তো জানেন ডাটা এন্ট্রি করার জন্য মাইক্রোসফট এক্সেল ও মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট এর প্রয়োজন হয়। 

আর ডাটা এনালাইসিস করার জন্য অবশ্যই মাইক্রোসফট এক্সেল এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম থেকে আয় করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই মাইক্রোসফট এক্সেল সফটওয়্যারটি সাহায্য নিতে হবে। 

কারণ ডাটা এন্ট্রি কাজ সম্পূর্ণ কমপ্লিট করার জন্য মাইক্রোসফট এক্সেল সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হয়। আর মাইক্রোসফট এক্সেল সম্পর্কে না জেনে থাকলে অবশ্যই জেনে নিবেন। 

টাকা ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার (Google AdSense)

ব্লগিং এবং ওয়েবসাইট মনিটাইজেশন করে এই প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে টাকা উপার্জন করতে পারেন। যারা ব্লগিং করেন তারা নিশ্চয়ই google এডসেন্স আসছেন সম্পর্কে জানেন। ব্লগিং ওয়েবসাইটকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজেশন করে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। 

অর্থাৎ আপনি ব্লগিং সাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই ব্লগিং সাইট তৈরি করার প্রয়োজন হবে। এজন্য কিছু টাকা খরচ করে ব্লগিং সাইট বানিয়ে নিন এবং সেখানে নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করতে থাকুন। 

যখন ট্রাফিক সংখ্যা বাড়তে থাকবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারেন।এভাবে আপনি গুগল এডসেন্স অনুমোদন নিয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন।

আয় করার উপায়
  • ব্লগিং সাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারেন।
  • অ্যাপস মনিটাইজেশন করে আয় করতে পারেন।
  • কনটেন্ট মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারেন।
পেমেন্ট পদ্ধতিঃ
ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারেন। অর্থাৎ ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিতে পেমেন্ট নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। 

ইনকাম করার জনপ্রিয় সফটওয়্যার (ClickBank)

বিভিন্ন প্রোডাক্ট প্রমোশন করে কমিশন নিয়ে এই প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করতে পারেন। এখানে আপনার কাজ হবে প্রোডাক্ট গুলো প্রমোশন করা এবং প্রোডাক্ট প্রমোশন করার বিনিময়ে কোম্পানির কাছ থেকে কমিশন গ্রহণ করা। অর্থাৎ এখানে আপনি কমিশন নিয়ে উপার্জন করতে পারবেন। প্রোডাক্ট রিভিউ সহ অন্যান্য মাইক্রোটাস্ক সম্পন্ন করে আয় করতে পারেন।

জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সফটওয়্যার (Fiverr) 

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার অন্যতম জনপ্রিয় সফটওয়্যার হল ফাইবার। এখানে সর্বনিম্ন ৫ ডলার এর কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শিখছেন এবং নতুন ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন তারা এই সাইটে কাজ করে সহজেই উপার্জন করতে পারবেন। এই প্লাটফর্মটি নিজস্ব সফটওয়্যার রয়েছে। যেখানে আপনি একাউন্ট খুলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে আয় করতে পারেন। 

এখানে লোগো ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি সহ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করা যাবে। যদি আপনার কোন নির্দিষ্ট বিষয় দক্ষতা থাকে তাহলে সেই বিষয়টি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করুন ভালো পরিমাণ ডলার আয় করতে পারবেন।  

আয়ের পরিমাণঃ প্রতি মাসে ২০০ থেকে ১০০০ ডলার

আয় করার উপায়ঃ শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং করে এই সফটওয়্যার থেকে আয় করতে পারেন। 

পেমেন্ট পদ্ধতিঃ PayPal, Payoneer, Bank Transfer

সর্বশেষ কথাঃ কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়

কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় বিষয়টি নিয়ে পরিপূর্ণ ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি আর্টিকেলটিতে। যারা আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জেনে গেছেন কোন সফটওয়্যার দিয়ে আয় করা সম্ভব। আমরা বেশ কিছু সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি যেগুলো ব্যবহার করে আপনারা বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারেন। 

আপনার কোন সফটওয়্যারটি পছন্দ হয়েছে আমাদের জানাতে পারেন। কোন মন্তব্য থাকলে নিজের কমেন্ট বক্সে জানানোর চেষ্টা করুন, আর অনলাইন ইনকাম বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে নিয়মিত ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন। 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url