-->

মিল্ক শেক এর দাম কত বাংলাদেশে-মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে দেখুন

অনেকে আমরা মিল্ক শেক সেবন করে থাকি, কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে জানি না। এর পাশাপাশি অনেকেই ওজন বাড়ানোর জন্য মিল্ক শেক সেবন করে থাকেন। আসলেই কি মিল্ক শেক ওজন বাড়ে? যদি বিষয়গুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কারণ সম্পূর্ণ আর্টিকেলে মিল্ক শেক এর দাম কত বাংলাদেশে ও মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হবে। 
মিল্ক শেক এর দাম কত বাংলাদেশে-মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে দেখুন
মিল্কশেক এর উপকারিতা সহ মিল্ক শেক এর দাম জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইল। 

ভূমিকা

গরমের দিনে এক গ্লাস ঠান্ডা মিল্ক শেক যেমন মনকে প্রশান্তি দেয়, তেমনি শরীরকেও চাঙ্গা করে। নানা স্বাদের মিল্ক শেক এখন ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টগুলোর মেন্যুতে জনপ্রিয় একটি আইটেম। তবে এর দাম কেমন? সব ধরনের মিল্ক শেক কি একই দামে পাওয়া যায়? 

আবার, যারা ওজন নিয়ে চিন্তিত, তাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে? এই নিবন্ধে আমরা বাংলাদেশে মিল্ক শেকের দাম, এর পুষ্টিগুণ এবং এটি কি ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে কিনা, তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে? 

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি ওজন বাড়াতে চান তাহলে অবশ্যই মিল্কশেক খেয়ে ওজন বাড়াতে পারবেন। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে মিল্ক শেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি যদি রোগা চিকন শরীর থেকে মোটা এবং ওজন বাড়াতে চান তাহলে অবশ্যই মিল্ক সেক খেতে পারেন। 

মিল্ক শেক এ রয়েছে উচ্চ ক্যালরি উপাদান তাছাড়াও এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সহ পুষ্টিকর উপাদান যা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি যেমন খেতে সুস্বাদু তেমনি এটি ওজন বাড়াতেও কার্যকারী। 
সাধারণত মিল্ক শেক এ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান যেমন ভিটামিন বি৬ , অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে তাছাড়া রয়েছে চিনি যা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। 

এসব মিল্ক শেক সাধারণত বাদাম , দুধ , বিভিন্ন ধরনের ফল, মিষ্টি কুমড়া ও খেজুর সহ বিভিন্ন ধরনের উপাদান একত্রে করে তৈরি করা হয়ে থাকে। যেটি পায় ৬০টি উপাদান নিয়ে তৈরি করা হয়। যার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর ঘাটতি পূরণ করে এবং আপনি অতি সহজেই মিল্ক শেক খেয়ে ওজন বাড়াতে পারেন। 

তাই আপনার ওজন বাড়াতে চাইলে খাদ্য চাট এ মিল্কশেক অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। যেটি আপনার ওজন বাড়ানোর সাথে সাথে আপনার পেশি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

মিল্ক শেক এর দাম কত বাংলাদেশে

মিল্কশেক খাওয়ার পূর্বে আপনাদের অবশ্যই মিল্ক শেক এর দাম কত বাংলাদেশে এ সম্পর্কে জানা উচিত। তাহলে আপনাদের ধারণা থাকলে আপনারা সেই বুঝে কিনে মিল্ক শেক সেগুলো খেতে পারবেন। চলুন আমরা এখন মিল্কশেক এর দাম জেনে আসি। নিম্নে কয়েকটি প্রচলিত ও জনপ্রিয় মিল্কশেক এর দাম দেওয়া হল।
  • Milky Way Chocolate Milk Shake Drink - চকোলেট মিল্ক শেক ৩৫০ মিলি গ্রাম এর দাম ৮০০ টাকা
  • Savoury Milkshake Premix Vanilla - মিল্ক শেক ভ্যানিলা ১০০ গ্রাম এর দাম ১৮০ টাকা
  • Maltese R’s Chocolate Milk Shake Drink - চকোলেট মিল্ক শেক ৩৫০ মিলি গ্রাম এর দাম ৭০০ টাকা

মিল্ক শেক এর উপকারিতা

আমরা এই অংশটিতে বিস্তারিত মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব। নিম্নে উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলোঃ
  • মিল্ক শেক এ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান যা আপনার শরীরের পুষ্টিকর ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে থাকবে। আর এই মিল্কশেক একটি উপাদানের ভরপুর বলা হয়ে থাকে।
  • তাছাড়াও মিল্কশেকে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
  • আপনার শরীরে যদি কার্বোহাইড্রেট এর ঘাটতি হয়ে থাকে তাহলে আপনি মিল্কশেক গ্রহণ করার মাধ্যমে শরীরের কার্বোহাইড্রেট এর ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন।
  • এতে রয়েছে ভিটামিন সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান যা আপনার ওজনকে বানাতে সহায়তা করতে পারে।
  • তাছাড়া ও জানা গেছে এটি খেলে আপনার হাটকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করতে পারে।
  • এছাড়াও আপনার মস্তিষ্ক ফ্রেশ রাখতে সহায়তা করে থাকে এই মিল্কশেক খাওয়ার ফলে।
  • মিল্ক শেকে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন ও ভিটামিন যা আপনার পেশী গঠন করতে সহায়তা করতে পারে এবং শরীরের স্বাস্থ্য ও শরীরের হাড় মজবুত করতে পারে।
  • তাছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকার হলো এটি আপনার স্বাস্থ্য ঠিক রাখার পাশাপাশি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বহু গুনে বাড়িয়ে দিবে।
  • তা ছাড়া জানা গেছে এই মিল্কশেকে রয়েছে ভিটামিন ডি , ভিটামিন বি সহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা আপনার ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
  • তাছাড়াও এই মিল্ক সেক গুলো দুধসহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাদ্যের উপাদান দ্বারা তৈরি যার ফলে এতে রয়েছে দুধের ক্যালসিয়াম সহ প্রোটিন যা আপনার দাঁতকে মজবুত , হাড়কে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে থাকে।
  • এই মিল্কশেক বাড়ন্ত ছেলেদের অথবা মেয়েদের খাওয়ালে তাদের শরীরে হাড় বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরের হাড় গঠনে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়াও শরীরের হাড় সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই বাড়ন্ত বয়সে ছেলে মেয়ে উভয় এগুলো খাওয়াতে পারেন।
  • তাছাড়া এটিতে রয়েছে এক প্রকার এন্টিঅক্সিডেন্ট যেটি আপনার মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।

মিল্ক শেক এর অপকারিতা

আপনারা অনেকে জানেন মিল্কশেক উপকারিতার পাশাপাশি সাধারণত কিছু অপকারিতা করে থাকে যেগুলো আমরা এখন জানব।
  • যাদের ত্বকে এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এলার্জি বেড়ে যেতে পারে। তবে এটি সাধারণত কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এলার্জি হল শারীরিক সমস্যা। এটি যে কারোর যেকোন খাবারে হতে পারে। তবে আপনার যদি মিল্ক সেকে অ্যালার্জি থাকে তাহলে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন।
  • তাছাড়া যারা শুধুমাত্র প্রোটিন ও পুষ্টিকর উপাদানের জন্য মিল্কশেক খাচ্ছেন তাদের অবশ্যই মনে রাখা উচিত এটি খাওয়ার ফলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে।
  • এছাড়া অনেকের এই মিল্কশেক খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার হজমে সমস্যা রয়েছে কিনা সেটি পরীক্ষা করতে মিল্ক সেক খেয়ে দেখুন।
  • তাছাড়াও মিল্ক শেকে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান সহ চিনিযুক্ত উপাদান রয়েছে যার ফলে এটি খাওয়া হলে ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
  • এছাড়াও এই মিল্ক শেক অধিক ফ্যাট যুক্ত স্যাচুরেটেড উপাদান নিয়ে তৈরি যার ফলে এটি অধিক পরিমাণে খেলে আপনার শরীরে ফ্যাট জমা হতে পারে।
  • তাছাড়াও আপনি যদি অধিক পরিমাণে বানানো মিল্ক শেক খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাছাড়াও পেটে ব্যথা হতে পারে এবং পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • এটি অধিক পরিমাণে গ্রহণ করার ফলে আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তবে পরিমাণ মতো খেলে তেমন কোন ক্ষতি নেই বললেই চলে শুধু আপনি উপকারী পাবেন।

মিল্ক শেক কিভাবে খেতে হয়

মিল্কশেক খাওয়ার তেমন স্পেশাল নিয়ম নেই। তবে সবচেয়ে ভালো হয় আপনি এক গ্লাস হালকা গরম দুধের সাথে এক থেকে দুই চামচ মিল্কশেক মিশিয়ে খাওয়া উচিত। এটি আপনারা ঘুমানোর আগে খেতে পারেন অথবা বিকালে যদি আপনার ব্যায়াম করার অভ্যাস থাকে , 

তাহলে আপনি ব্যায়াম করার ৩০ মিনিট আগে মিল্ক শেক খেয়ে ব্যায়াম করা শুরু করতে পারেন। তাহলে এর থেকে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন।এছাড়া আপনারা যদি খেজুরের মিল্কশেক খেতে চান তাহলে তার জন্য প্রথমেই হালকা কুসুম গরম দুধের সাথে তিনটি খেজুর ভালোভাবে মিশিয়ে নিবেন ,

তারপর চিনি যুক্ত করবেন আর একটি আই কিউব নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে হয়ে যাবে আপনার খেজুরের মিল্ক শেক। এভাবে আপনারা খেজুরের মিল্কশেক বানিয়ে খেতে পারেন। আর অবশ্যই অধিক পরিমাণে খাবেন না প্রতিদিন একগ্লাস করে খেতে পারেন।

মিল্ক শেক বানানোর নিয়ম

খেজুরের মিল্কশেক বানানোর নিয়মঃ প্রথমে আপনাকে চারটি খেজুর নিতে হবে সেগুলো ব্লেন্ডারে ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তারপর ব্লেন্ডারে আপনার প্রয়োজনমতো চিনি নিন। হাফ কেজির মত দুধ নিবেন এবং হালকা বরফ মিশিয়ে মিশনটি তৈরি করে নিন ভালোভাবে তাহলে আপনার তৈরি হয়ে যাবে খেজুরের মিল্ক শেক।

চকোলেট মিল্ক শেক বানানোর নিয়মঃ আপনি ঘরে বসেই চকলেট মিল্কশেক বানাতে পারবেন। এ ধরনের মিল্কশেক বাচ্চারা বেশি পছন্দ করে থাকে। এর জন্য প্রথমেই আপনাকে দুই থেকে তিন কাপ দুধ নিতে হবে। তারপর ২-৩ চামচ ভ্যানিলা ক্রিম অথবা ফ্লেভার ব্যবহার করুন। 

এবার একটি কলা নিতে পারেন তার সাথে ২-৩ চা চামচ তরল চকলেট ও ক্যারামেল আইসক্রিমের ক্রিম মিশিয়ে ব্লেন্ডারে তৈরি করুন। তাহলে হয়ে যাবে আপনার চকলেট মিল্কশেক।

মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা- FAQs 

বাংলাদেশে মিল্ক শেকের দাম কত?
মিল্ক শেকের দাম রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত স্ট্রিট ফুড বা ছোট দোকানে ৮০-১৫০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়, আর বড় ক্যাফে ও ব্র্যান্ডেড কফি শপে ২০০-৫০০ টাকার মধ্যে থাকতে পারে।

মিল্ক শেক কি ওজন বাড়ায়?
হ্যাঁ, যদি উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত উপাদান যেমন ফুল-ফ্যাট দুধ, চিনি, আইসক্রিম বা ক্রীম ব্যবহার করা হয়, তাহলে নিয়মিত মিল্ক শেক পান করলে ওজন বাড়তে পারে। তবে লো-ফ্যাট দুধ ও চিনি ছাড়া বানালে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

কোন ধরণের মিল্ক শেক স্বাস্থ্যকর?
যেসব মিল্ক শেকে চিনি কম, প্রাকৃতিক ফল, বাদাম, ও লো-ফ্যাট দুধ ব্যবহার করা হয়, সেগুলো স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়।

ডায়েট অনুসরণকারীরা কি মিল্ক শেক খেতে পারেন?
হ্যাঁ, তবে চিনি ও উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত উপাদান এড়িয়ে বানানো লো-ফ্যাট ও সুগার-ফ্রি মিল্ক শেক হলে তা ডায়েট ফ্রেন্ডলি হতে পারে।

মিল্ক শেক কি শিশুরা প্রতিদিন খেতে পারে?
শিশুরা চাইলে প্রতিদিন মিল্ক শেক খেতে পারে, তবে অতিরিক্ত চিনি ও কৃত্রিম ফ্লেভার এড়িয়ে তৈরি করা উচিত। প্রাকৃতিক ফল ও দুধের মিশ্রণে তৈরি মিল্ক শেক শিশুদের জন্য পুষ্টিকর হয়।

ঘরে তৈরি মিল্ক শেক কি ক্যাফের চেয়ে স্বাস্থ্যকর?
অবশ্যই! ঘরে তৈরি মিল্ক শেকে আপনি নিজেই উপাদান নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, যা বাজারের শেকের চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ হয়ে থাকে।

লেখকের মন্তব্য - মিল্ক শেক এর দাম কত বাংলাদেশে

মিল্ক শেক শুধুমাত্র একটি সুস্বাদু ও ঠান্ডা পানীয় নয়, এটি আমাদের শরীরের জন্য শক্তিরও একটি ভালো উৎস। তবে এটি কতটা স্বাস্থ্যকর হবে, তা নির্ভর করে ব্যবহৃত উপাদানের উপর। বাংলাদেশে মিল্ক শেকের দাম জায়গা ও মান অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে, তবে এটি সহজেই ঘরে তৈরি করাও সম্ভব। 

যারা ওজন নিয়ে চিন্তিত, তারা স্বাস্থ্যকর উপায়ে কম চিনি ও লো-ফ্যাট দুধ ব্যবহার করে মিল্ক শেক উপভোগ করতে পারেন।

সবশেষে, মিল্ক শেক উপভোগ করা দোষের কিছু নয়, তবে এটি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করাই শ্রেয়। স্বাস্থ্যসচেতনতার পাশাপাশি স্বাদের আনন্দও যেন বজায় থাকে, সেটাই আসল কথা!

Post a Comment

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.