-->

মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় (১২টি কার্যকর পদ্ধতি)

মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে চান? জেনে নিন ২০টি বাস্তব ও কার্যকর উপায়, যেগুলো দিয়ে অনলাইনে ঘরে বসেই আয় করা সম্ভব। শিক্ষার্থী, গৃহিণী কিংবা বেকার সবাই উপ
প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে চাচ্ছেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কারণ আজকের আর্টিকেলটির মূল বিষয় হলো মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায়। অর্থাৎ আমরা মাসে 10000 টাকা আয় করার উপায় গুলো আলোচনা করব।
মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
মাসে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করা কঠিন কিছু নয়, আপনি অনলাইনের মাধ্যমেই বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করে মাসে ১০ হাজার টাকা সহজেই আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার অনলাইন মাধ্যম গুলোর জন্য খুবই জরুরী। 

কারণ আপনি সঠিক উপায় না জানলে কখনোই আয় করতে পারবেন না। তাই আর্টিকেলটিতে মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত এ টু জেড আলোচনা করার চেষ্টা করব। 

মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় (১২টি কার্যকর পদ্ধতি) 

বর্তমান যুগে প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে আয়ের সুযোগও বহুগুণে বেড়েছে। আগে যেখানে আয়ের জন্য শুধুমাত্র চাকরি বা ব্যবসার দিকেই মনোযোগ দিতে হতো, এখন সেখানে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই আয় করা সম্ভব হচ্ছে। 
বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গৃহিণী, বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই ভাবেন অনলাইন থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করা কি সত্যিই সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব ।যদি সঠিক পরিকল্পনা ও ধৈর্যের সঙ্গে নির্ভরযোগ্য মাধ্যমগুলোতে কাজ করা যায়। 
এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো কীভাবে আপনি আপনার সময়, দক্ষতা এবং প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করে মাসে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো, যা আপনার জীবনে পরিবর্তন এনে দিতে পারে।

১. ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)

আপনারা জানেন অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে উপযুক্ত উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং। হ্যাঁ বন্ধুরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর অনলাইনে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং উপযুক্ত উপায়। কারণ এখানে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করলে ১০০% ইনকাম করতে পারবেন। 

এখানে আপনার নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজগুলো করে ইনকাম করতে হয়। যদি আপনার দক্ষতা থাকে তাহলেই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করা কোন বিষয় নয়, 

শুধুমাত্র আপনার কাজের প্রতি দক্ষতা থাকলেই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিদিন ১০০ ডলারের বেশি আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে অনেক ধরনের দক্ষতা ভিত্তিক কাজ করা যায় যেমনঃ ডাটা এন্টি , ভিডিও এডিটিং , ওয়েব ডিজাইন , এসিও , ডিজিটাল মার্কেটিং , গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি। 

আপনার যদি উক্ত দক্ষতা ভিত্তিক কাজগুলোতে আগে থেকেই অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম সাইটগুলোতে কাজ করুন। তাহলে খুব সহজেই মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি উপার্জন করতে পারবেন। 

২. ব্লগিং করে আয়

প্রতি মাসে ১০০০০ টাকা ইনকাম করার আরেকটি সহজ উপায় হলেও ব্লগিং করা। ব্লগিং সম্পর্কে সকলেই কমবেশি জেনে থাকেন। ব্লগিং করার জন্য ব্লগিং সেক্টরের সকল কিছু জানতে হয়। বিশেষ করে আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে জানলে ব্লগিং করে নিজের ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা যায়।

আপনারা যে আর্টিকেলটি পড়ছেন এটিও ব্লগিং করে লেখা। ব্লগিং হলো অনলাইনে ওয়েবসাইট লেখালেখি করা। আপনি নিজের একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট খেলে সেখানে গুগল অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। 

বর্তমানে ব্লগিং ওয়েবসাইট খুলে ব্লগিং করার মাধ্যমেই যুবক ছেলে মেয়েরা গুগল এডসেন্স থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করছেন। তাই আপনারা যদি সত্যিকার অর্থে ইনকাম করার ইচ্ছা থাকে তাহলে ব্লগিং শুরু করতে পারেন।  

৩. ইউটিউব চ্যানেল খুলে

ইউটিউব অ্যাপটি ব্যবহার করে কিন্তু বর্তমানে প্রতিমাসের লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। শুধু মাত্র এর ব্যবহারবিধি জানতে হবে। ব্যবহারবিধি বলতে ইউটিউব চ্যানেল খুলে কিভাবে ইনকাম করা যায় তা সম্পর্কে জানতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল খুলে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা সম্ভব। 

তবে আপনি যেই মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ইনকাম করবেন সেটি হলো ভিডিও আপলোড করে। ইউটিউব চ্যানেলে ইন্টারেস্টিং ভিডিও বানিয়ে আপলোড করলে প্রচুর ভিউজ পাওয়া যায়। আর সেই ভিউস থেকে আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন। 

এটি ছিল ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার মূল উপায়। এছাড়াও আপনি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ব্র্যান্ড স্পন্সরশিপ, ও প্রোডাক্ট প্রোমোশন করে ইনকাম করতে পারবেন। 

৪. ড্রপশিপিং ব্যবসা

পণ্য নিজে স্টক না রেখে বিদেশি সাপ্লায়ারের মাধ্যমে অনলাইন শপ চালানো যায় এবং এখান থেকে প্রফিট মার্জিনে আয় করা সম্ভব। ড্রপ শিপিং কাজ গুলো করা খুবই সহজ। এখানে আপনার কাজ হল অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করে দেওয়া। 

আপনি প্রতিটি প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন। এছাড়া আপনি চাইলে নিজের ইচ্ছামত দাম দিয়ে প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন নিতে পারেন। ধরুন আপনি amazon এর কোন প্রোডাক্ট নির্বাচন করলেন। অ্যামাজনের সেই প্রোডাক্টটির দাম বর্তমানে 200 টাকা। 

আর এই প্রোডাক্টটির লিংকসহ আপনি আপনার সাইটে অথবা অন্য জায়গায় ২৫০ টাকায় লিস্টিং করলেন। এখন কোন ব্যক্তি বা গ্রাহক আপনার সেই লিংক থেকে ২৫০ টাকায় অ্যামাজনের প্রোডাক্ট অর্ডার করলে আপনি ৫০ টাকা কমিশন পাচ্ছেন। 

এভাবে আপনি নিজের ইচ্ছামত দাম বাড়িয়ে ড্রপ শিপিং ব্যবসা করে আয় করতে পারবেন। ড্রপ শিপিং ব্যবসা করে কিন্তু সহজেই মাসে 10000 টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আশা করি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে এই উপায়টি আপনার কাছে সহজ মনে হয়েছে। 

৫. গ্রাফিক ডিজাইন

ক্যানভা বা অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর দিয়ে লোগো, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন করে ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনার বিশেষ সৃজনশীল দক্ষতা থাকতে হবে। কারণ ডিজাইন করার জন্য নিজের সৃজনশীল বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হয়। 

অনেক চিন্তা করে আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরি করতে হয়, যার ফলে ডিজাইনগুলো বিক্রি করা যায়। যদি আপনার আকর্ষণীয় ডিজাইন করার সক্ষমতা থাকে তাহলে গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজগুলো করে ঘরে বসে অনলাইনে অথবা অনলাইনে আয় করতে পারেন। 

৬. অনলাইন টিউশন বা কোচিং

পড়ালেখার বিষয়ে বা বিশেষ কোন বিষয়ে দক্ষতা থাকলে অনলাইন টিউশন নিয়ে অনলাইন থেকে উপার্জন করতে পারেন। ধরুন আপনার গণিত বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে, সে ক্ষেত্রে আপনি গণিত বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে কোচিং করাতে পারেন অথবা প্রাইভেট পড়াতে পারেন। 

অনলাইনে হাজার হাজার স্টুডেন্ট ও শিক্ষকরা অনলাইন কোচিং করিয়ে টাকা উপার্জন করছে।অনলাইনে টিউশন করলে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। কিন্তু স্টুডেন্টদের প্রচুর প্রয়োজন হয়। 

যদি আপনি অনলাইনে প্রচুর স্টুডেন্টদের পড়াতে পারেন তাহলে অনলাইন টিউশনি করে বা কোচিং করিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। Zoom বা Google Meet-এর মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস নিতে পারেন, এতে করে সহজেই শিক্ষার্থীরা আপনার সাথে অনলাইন ক্লাসে কমিউনিকেট করতে পারবে। 

৭. ডিজিটাল মার্কেটিং

মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় থেকে ইনকাম করার চিন্তা ভাবনা করছেন। তাহলে আজকের এই জনপ্রিয় উপায়টি অনুসরণ করতে পারেন। আর উপায়টি হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। এটি বর্তমানে সবচেয়ে ডিমান্ডোবেল সেক্টর, যেখানে আপনি কাজ সম্পর্কে জানলে অথবা কাজে অভিজ্ঞ হলে সার্ভিস দিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে Facebook Ads, Google Ads, SEO, ইমেইল মার্কেটিং এই স্কিলগুলো শিখে লোকজনের বিজনেসে সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। তাই স্কিল গুলো শিখুন, স্কিল গুলো ব্যবহার করে অনলাইন থেকেই মাসে 10000 টাকা আয় করুন। 

৮. মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ইনকাম

যদি একাধিক মোবাইল অ্যাপে কাজ করতে পারেন তাহলে মাসে 10000 টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে। বর্তমানে ইন্টারনেটে আয় করার অনেকগুলো অ্যাপ আছে, যেখান থেকে সামান্য ইনকাম করা গেলেও যদি আপনি প্রচুর অ্যাপ এ একসঙ্গে কাজ করেন তাহলে 10000 টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

এই ধরনের অ্যাপ গুলোতে কাজ করার জন্য অভিজ্ঞতা লাগে না বা দক্ষতা ও লাগেনা। শুধুমাত্র কাজ করার নিয়ম জানলে তাদের দেখানো নিয়ম অনুযায়ী কাজ করেই উপার্জন করা যায়। এখানে বেশিরভাগ গুলোতে ভিডিও দেখে , বিজ্ঞাপন দেখে , বিভিন্ন টাক্স সম্পূর্ণ করে আয় করতে হয়। 

বর্তমানে আপনি চাইলে CashZine, RozDhan,Freecash ,Swagbucks Google Opinion Rewards ইত্যাদি অ্যাপে রিভিউ, ভিডিও দেখা বা সার্ভে করে ইনকাম করতে পারেন। অনেকেই এই সাইটগুলো থেকে আয় করছে, আপনিও চেষ্টা করে দেখুন।

৯. কন্টেন্ট রাইটিং - মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

আপনারা হয়তো আগেই জানতে পেরেছেন ব্লগিং করে মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করা যায়, আর ব্লগিং করার জন্য কনটেন্ট রাইটিং করতে হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন কনটেন্ট রাইটিং করেই প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আপনারা চাইলে নিজের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট রাইটিং করে অথবা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করতে পারবেন।   

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ইংলিশ রাইটার এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই আমরা বলবো আপনারা যারা ইংলিশে ভালো রয়েছেন তারা ইংলিশ কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন। কারণ ইংলিশ কনটেন্ট রাইটিং করে আপনারা প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। 

পাশাপাশি বাংলা কনটেন্ট লিখেও বর্তমানে আয় করা যায়। অনেক বাংলাদেশী ক্লাইন্ট বাংলা কনটেন্ট রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকে। সেখানে আপনি তাদের সাথে কাজ করে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আর ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে বিদেশি ক্লায়েন্টের কাছে কনটেন্ট বিক্রি করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। 

১০. ই-কমার্স ব্যবসা

আপনারা কিন্তু ই-কমার্স ব্যবসা করেই প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। অনলাইনে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম খুলে সেখানে ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। ই-কমার্স ব্যবসা করার জন্য টাকা ইনভেস্ট করতে হয়।  

আর যেকোনো ধরনের ব্যবসা করতে হলেই ভাবনা চিন্তা করে কাজ করতে হয়। বিশেষ করে বর্তমানে বাজারে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি রয়েছে তার ওপর নির্ভর করে ব্যবসা টার্গেট ঠিক করতে হয়। 

আর এ ধরনের ব্যবসা করতে হলে প্রচুর পরিশ্রম ও মেধা শক্তি খাটিয়ে কাজ করতে হয়। বর্তমান সময়ে ই-কমার্স ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করছে। প্রায় বেশিরভাগই এখন অনলাইনে এ ই -কমার্স ব্যবসা শুরু করেছে। আপনারা চাইলে সঠিক পণ্য বা সঠিক নিস সিলেকশন এর মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

১১. ফার্মেসির দোকান  

আপনাকে কিন্তু চাইলে ছোট আকারের ফার্মেসির দোকান দিয়েই মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। তবে সেক্ষেত্রে ফার্মেসির দোকানটি ভালো অবস্থানে থাকতে হবে। যেমন ফার্মেসির দোকান বাজারের এলাকায় থাকলে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। 

আর ফার্মেসির দোকানে সকল ধরনের ওষুধ থাকতে হবে। ভালো মানের ওষুধ বিক্রি করলে খুব সহজেই ফার্মেসির দোকান থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি লাভ করা সম্ভব।   

বর্তমানে অনেকেই ফার্মেসির দোকান দিয়ে মাসে ১০-৩০ হাজার টাকা আয় করছে। ফার্মেসির দোকানগুলো অবশ্যই জনসমাগম এলাকায় থাকতে হবে। আর দোকানে অবশ্যই সকল ধরনের ভালো কোয়ালিটির ঔষধ মজুদ রাখতে হবে। 

আপনারা জানেন মানুষ অসুস্থ হলেই ফার্মেসিতে গিয়ে থাকে। আর ফার্মেসিতে ভালো মনের ওষুধ ক্রয় করতে চাই। ফার্মেসির দোকান থেকে লাভবান হতে হলে আপনাদের অবশ্যই কিছু বিষয় চিন্তা ভাবনা করে কাজ করতে হবে।

যেমনঃ ওষুধের কোয়ালিটি ভালো হতে হবে, গ্রাহক সেবা উন্নত রাখতে হবে , দোকানটি ভালো অবস্থানে থাকতে হবে , দোকানের প্রচার প্রচারণা করতে হবে। এভাবে সকল বিষয়গুলো মেনে চলে কাজ করলেই ফার্মেসীর দোকান থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

১২. ডেটা এন্ট্রি কাজ

বেসিক কম্পিউটার নলেজ থাকলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ডেটা এন্ট্রির কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হলে কম্পিউটারে বেসিক নলেজ থাকতে হয়, বিশেষ করে মাইক্রোসফট এক্সেল , মাইক্রোসফট অফিস ও পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়্যার গুলোতে দক্ষতা থাকলে এই ডাটা এন্টির কাজটি করে প্রতি মাসেই 100 ডলারের বেশি আয় করা যায়। 

আর আপনারা বুঝতে পারছেন ১০০ ডলার মানে বাংলাদেশি টাকায় ১০ হাজার টাকা। আপনি এই কাজটি ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সাইটে পাবেন। যদি দক্ষ হন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম এ কাজটি পাওয়ার ট্রাই করুন। 

শেষ কথা - মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিতে মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপন করেছি। প্রতি মাসে বিভিন্ন উপায়ে ১০ হাজার টাকা উপার্জন করা যায় তবে আমরা বেশ কার্যকরী পদ্ধতি গুলো তুলে ধরেছি যার মাধ্যমে আপনি সহজেই অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যম থেকে আয় করতে সক্ষম হবেন। 

কিন্তু আপনাকে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করতে হলে অবশ্যই প্রতিদিন সঠিকভাবে পরিশ্রম করতে হবে, যদি আপনার পরিশ্রম করার মন মানসিকতা থাকে তাহলেই প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে সক্ষম হবেন। 

Post a Comment

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.