আপনি যদি জিংক বি ট্যাবলেট সেবন করেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে জিংক বি ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও এর কাজ কি তা সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। পাশাপাশি অনেকেই বর্তমানে জিংক বি ট্যাবলেট মোটা হওয়ার জন্য সেবন করে থাকেন। তবে আসলে কি জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়? বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
জিংক বি ট্যাবলেট আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা দিয়ে থাকে। যার কারণে আমরা এই ট্যাবলেটটি খেয়ে থাকি। জিংক বি ট্যাবলেট কেন খায়, এই ট্যাবলেট এর কাজ কি ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে হলে আর্টিকেলের প্রতিটি অংশ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। বিশেষ করে জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
ভূমিকা
আমাদের শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যে জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, ত্বকের যত্ন কিংবা চুল পড়া রোধে জিংক বি ট্যাবলেটের ব্যবহার আমরা শুনে থাকি।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই জানতে চান "জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হওয়া যায়?" বিশেষ করে যারা ওজন বাড়াতে চান বা শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করেন, তাদের মধ্যে এই প্রশ্নের কৌতূহল বেশি।
তবে এটি শুধু ধারণার বিষয় নয় ,এতে রয়েছে কিছু বৈজ্ঞানিক যুক্তি ও বাস্তব অভিজ্ঞতার মিল। এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব জিংক বি ট্যাবলেটের কাজ কী, জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা এবং সত্যিই জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয় কি না।
জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা
জিংক বি ট্যাবলেট বা জিংক ট্যাবলেটের উপকারিতা গুলো এখন তুলে ধরা হবে। অনেকেই সেবন করে থাকেন কিন্তু উপকারিতা জানেন না তাদের জন্য আমরা এই পয়েন্টটিতে জিংক ট্যাবলেট এর উপকারিতা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
- দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে ভালো কাজ করে থাকে
- কোন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকলে তা সেরে যায়। তাই দীর্ঘস্থায়ী রোগ সমস্যা সমাধান করতে আপনারা জিংক ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন।
- পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা ও তার যৌবন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যে সকল যুবকদের অথবা পুরুষদের যৌবন ক্ষমতা কমে গেছে তারা এ ধরনের ট্যাবলেট খেতে পারেন।
- যাদের ডায়রিয়া অথবা বমি বমি ভাব বেশি দেখা যায় তাদের ক্ষেত্রে জিংক ট্যাবলেট খেলে ডায়রিয়া সেরে যায় এবং বমি ভাব দূর হয়।
- দেহের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে। বিশেষ করে জিংকের ঘাটতি ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ঘাটতি পূরণ করে থাকে।
- ছেলেমেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করে থাকে। চুল পড়া সমস্যা সমাধানে আপনারা জিংক বি ট্যাবলেটগুলো গ্রহন করতে পারেন।
- অনেক সময় আমার পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে উঠি। সে ক্ষেত্রে জিংক বি ট্যাবলেট গ্রহণ করলে পড়াশোনায় মনোযোগ বেড়ে যায়।
- মুখের ব্রণ ধীরে ধীরে ঠিক হতে থাকে। ছেলেমেয়েরা ব্রণ দূর করতে এ ধরনের ট্যাবলেট গ্রহণ করতে পারেন।
- তাছাড়াও জানা গেছে জিংক বি ট্যাবলেট ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে।
- আবার জিহ্বায় ঘা থাকলে তা সারাতে সাহায্য করে থাকে এই ট্যাবলেট।
- দেহের কোন ক্ষত থাকলে তা নিরাময় করতে কাজ করে।
- দেহে জিংক এর অভাব থাকলে তা পূরণ হয়।
- মানসিক দুশ্চিন্তা বা অবসাদ কমে যায়।
- যে কোন কাজে অমনোযোগী ভাব দূর হয়।
- যাদের একজিমা রয়েছে তা ধীরে ধীরে সেরে যায়।
- দেহে ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- মায়েদের ক্ষেত্রে নবজাতক শিশুর বৃদ্ধি বিকাশ করে অর্থাৎ বামনত্ব বা অপরিপক্কতা দূর হয়।
- ক্ষুধা জনিত সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং খাবারের প্রতি রুচি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
- খাবারের ভালো স্বাদ পাওয়া যায়।
- ঠান্ডা কাশি অর্থাৎ ঠান্ডা লাগলে তা সেরে যায়।
জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়?
আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা প্রশ্ন করে থাকেন জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়?। তাদের উত্তরে বলব জিংক বি ট্যাবলেট খেলে মোটা হওয়া যায় না। এই ট্যাবলেটটি কোন মোটা হওয়া বা ওজন বৃদ্ধির ঔষধ নয়।
তাই এই ট্যাবলেট খেলে শরীরের ওজন বাড়ানো অথবা মোটা হওয়া যায় না। এই ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে শুধুমাত্র শরীরের ভিটামিন বি ও জিংকের ঘাটতি পূরণ হয়। তবে অনেক জায়গায় লেখা রয়েছে এই ট্যাবলেট খেলে শরীর ওজন বাড়ানো যায়।
আরো পড়ুনঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট এর নাম দেখুন
কিন্তু এ বিষয়ে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। যেহেতু এই ট্যাবলেটটি ওজন বৃদ্ধির ওষুধ নয় সুতরাং এটি খেলে মোটা হওয়া যায় না এবং ওজন বাড়ানো যায় না।শরীর মোটা করা অথবা ওজন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় সেগুলো আপনারা খেতে পারেন। তবে জিংক বি ট্যাবলেট শুধুমাত্র ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে।
কিন্তু এক সূত্রে জানা গেছে জিংক ট্যাবলেট খেলে মোটা হওয়া যায়।এটি বলার কারণ হলো জিংক ট্যাবলেট খেলে খাবারের প্রতি রুচি বাড়ে। এর ফলে যে কেউ বেশি বেশি খাবার খেতে থাকে। এজন্য হয়তো সামান্য ওজন বাড়তে পারে অথবা মোটা হতে পারে।
তাহলে বলা যায় জিংক বি ট্যাবলেট খেলে মোটা হওয়া যায় না বরং শরীরে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর চাহিদা পূরণ করা যায়।
এই ট্যাবলেট খেলে হয়তো আপনার খাবারের প্রতি রুচি বাড়বে কিন্তু তেমন ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে না। আশা করছি আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন এই ট্যাবলেট মোটা হতে সাহায্য করে না।
মোটা হওয়ার জন্য আপনারা বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট খেতে পারেন যেগুলো ফার্মেসির দোকানে পেয়ে যাবেন। অবশ্যই সেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
আপনারা যদি সঠিক নিয়মে জিংক বি ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাবেন। তবে আপনাদের সেই নিয়ম গুলো জানতে হবে। সাধারণত জিংক বি ট্যাবলেট দিনে ১টি করে তিনবার খেতে পারেন। আপনারা সকাল, বিকাল ও রাতে ১টি করে ট্যাবলেট খাবেন।
আর অবশ্যই খাবার খাওয়ার পর ভরা পেটে জিঙ্ক ট্যাবলেট খেতে হবে। খালি পেটে কখনোই এ ধরনের ট্যাবলেট খাবেন না। আর মনে রাখবেন কোনো কারণ ছাড়া এ ধরনের ট্যাবলেট গ্রহণ করা উচিত নয় তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জিংক ট্যাবলেট গ্রহন করবেন।
আপনার শরীর যদি ভিটামিনের ঘাটতি অথবা জিংকের অভাব দেখা দিয়ে থাকে তাহলে এ ধরনের ট্যাবলেট গুলো সেবন করতে পারেন। শরীরকে সুস্থ রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আপনারা প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী জিংক বি ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন।
তাছাড়াও জিংক সিরাপ পাওয়া যায় যেটি আপনারা বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন। বাচ্চাদের বয়স অনুযায়ী এ ধরনের সিরাপ গুলো খাওয়াতে হয়। সেজন্য কতটুকু খাওয়াবেন সেটি জানার জন্য আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
এছাড়াও এই ট্যাবলেট গুলো গর্ভকালীন সময়ে মায়েরা সেবন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ডাক্তারকে দেখিয়ে সেবন করতে হবে।
জিংক বি কেন খায়?
সাধারণত শরীরের জিংক এর অভাব দেখা দিলে জিংক বি খাওয়া হয়। তাছাড়াও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য জিংক বি খাওয়ানো হয়ে থাকে। খাবারে অরুচি কমাতে জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ায় থাকে। শিশুদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ডাক্তাররা প্রায় জিংক ট্যাবলেট প্রেসক্রিপশন করে থাকে।
এজন্য আপনারা বুঝতেই পারছেন বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এবং দৈহিক বৃদ্ধির জন্য জিংক অপরিহার্য। তাই আপনারা সচরাচর বাচ্চাদের জিঙ্ক যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। জিংক বি খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
জিংক বি ট্যাবলেট এর দাম কত?
আপনারা বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফার্মেসির দোকানে এই ট্যাবলেট গুলো পেয়ে যাবেন। তবে আপনাদের দাম গুলো জেনে রাখা অবশ্যক। প্রতি পিস জিংক বি ট্যাবলেট এর দাম ৩.৫০ টাকা।আর ট্যাবলেটগুলো বক্স আকারে নিলে দাম ১০৫ টাকা। প্রতি বক্সে ৩০ টি করে ট্যাবলেট থাকে।
আপনারা এই ট্যাবলেটগুলো কেনার আগে অবশ্যই ট্যাবলেট এর বক্সে গায়ে লেখা মেয়াদ ও উৎপাদন তারিখ দেখে কিনবেন। আর ট্যাবলেটগুলো ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখবেন এবং শিশুদের থেকে দূরে রাখবেন।
জিংক এর অভাবে কি হয়?
জিংকের অভাব হলে অনেক ধরনের রোগ হয়ে থাকে। আপনার অনেকেই এ সম্পর্কে ভালোমতো জানেন না। জিংক এর অভাবজনিত রোগ গুলো সম্পর্কে জানলে হয়তো আপনারা আগে থেকেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবেন। নিম্নে জিংক এর অভাবজনিত রোগ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
- গর্ভবতী মায়েদের জিংক এর অভাব হলে বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি হতে পারে।
- মানবদেহে জিংক এর অভাব হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
- এছাড়া জিংকের অভাব হলে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
- আবার অনেকের ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে। চুল পড়া সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অনেক সময় দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা হতে পারে। এজন্য দৃষ্টি শক্তি ঠিক রাখতে জিংক গ্রহণ করুন।
- তাছাড়া জানা গেছে জিংকের অভাব হলে দেহের হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
- পড়ালেখায় মনোযোগের ঘাটতি দেখা যেতে পারে।
- মানসিক দুর্বলতা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া মানসিক ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।
- ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া হতে পারে জিংকের অভাবে। তবে সবার ক্ষেত্রে ডায়রিয়া দেখা যায় না।
- দেহের দৈহিক বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে জিংক এর অভাব হলে শারীরিক বৃদ্ধি কমে যেতে পারে।
- ছেলে ও মেয়েদের মুখে ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- জিংক এর অভাবে দেহে অর্থাৎ মুখে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে যেকোনো কারণে ক্ষত দেখা দিতে পারে।
- এছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ যুবকদের যৌবন ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
- ছত্রাক জনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।
- যেকোনো কাজে মনোযোগ বসাতে সমস্যা হয়। বিশেষ করে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে।
- শারীরিক ও মানসিক অবসাদগ্রস্ত মনে হয়। শরীর সবসময়ই ক্লান্ত অনুভব করে এবং কোন কাজ করতে মন চায় না।
আরো অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। সাধারণত ব্যক্তি ভেদে সমস্যা ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে উপরোক্ত সমস্যাগুলো বেশি পরিলক্ষিত হয় তাই আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
বেবি জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
শিশুদের যদি বা বেবিদের যদি জিংকের অভাব হয়ে থাকে তাহলে তাদের জিংক ট্যাবলেট নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। বেবিদের সাধারণত অপর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাদ্য ঘাটতি এবং শোষণের কারণে জিংকের অভাব হয়ে থাকে। এছাড়া শিশুদের ডায়রিয়া ও প্রোটিন ক্ষয়ের ফলে জিংক এর অতিরিক্ত ঘাটতি দেখা দেয়। বেবিদের স্বাস্থ্যের উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত জিংক খাওয়াতে হবে।
বেবি অর্থাৎ শিশুর ওজন ১০ কেজির নিচে হলে ৫ মিলি বা এক চা চামচ দৈনিক দুইবার খাবারের পর খাওয়াতে হবে। আর বেবির বয়স ১০ থেকে ৩০ কেজি হয় তাহলে ১০ মিলি অর্থাৎ দুই চা চামচ দৈনিক খাবারের পরে খাওয়াতে পারেন। অবশ্যই খাবারের পর প্রতিদিন এক থেকে তিনবার খাওয়াবেন।
জিংক ট্যাবলেট খেলে কি হয়?
আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে জিংক ট্যাবলেট অধিক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। গবেষণা দেখা গেছে নিয়মিত জিংক ট্যাবলেট খেলে সর্দি কাশি এবং প্রদাহ ও তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে যা আমাদের সারা বছর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
আপনার ত্বকের সমস্যাকে বিদায় জানান কারণ এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে থাকে।
ফলে আপনার ত্বক হয় উজ্জ্বল ত্বক ও দাগ মুক্ত বর্ণ। এমন কি পড়াশোনা অমনোযোগী হলেও আপনারা জিংক ট্যাবলেট খেতে পারেন। বিশেষ করে আপনাদের মধ্যে যাদের শারীরিক সমস্যা রয়েছে এবং যৌবন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তারা জিংক ট্যাবলেট খেতে পারেন
জিংক বি ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
জিংক ট্যাবলেট সঠিক নিয়মে না খাওয়ার কারণে অথবা অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। নিচে জিংক বি ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আলোচনা করা হলোঃ
- অনেকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘন ঘন বমি হতে পারে। বমি ভাব অনুভব হয়ে থাকতে পারে।
- পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে পেটব্যথা হয়ে থাকতে পারে।
- তাছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক নিয়মে গ্রহন করুন।
- আবার মাথাব্যথা লক্ষণ অনেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে দেখা দিয়ে থাকে।
- এছাড়াও পাকস্থলী জনিত সমস্যা হতে পারে।
এজন্য আপনারা কোন কারন ছাড়া জিংক বি ট্যাবলেট গ্রহণ করবেন না। রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জিংক বি ট্যাবলেট সেবন করবেন। শুধুমাত্র আপনাদের শরীরে যদি ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায় তখনই জিংক বি ট্যাবলেট গ্রহণ করবেন।
জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয় - FAQs
ওজন কমাতে কতটুকু জিংক খাওয়া উচিত?
আমাদের জানামতে সাধারণত ওজন কমাতে জিংক সাহায্য করতে পারে না। জিংক সাধারণত শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। আপনারা ওজন কমাতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জিংক খেতে পারেন।
পুরুষদের জন্য জিংক এর কাজ কি?
পুরুষদের যৌবন ক্ষমতা বাড়াতেও দেহের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে জিংক সহায়তা করে থাকে।
জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা কি?
জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা ভালোভাবেই সম্পূর্ণ পোস্টে আলোচনা করেছি। তবুও বলছি জিংক ট্যাবলেট চুল পড়া রোধ , খাবারের প্রতি রুচি বাড়াতে সহ অনেক ধরনের উপকারিতা করে থাকে।
জিংক বমি বমি ভাব কতদিন থাকে?
অত্যাধিক পরিমাণে জিংক যুক্ত খাবার অথবা জিংক ট্যাবলেট খেয়ে থাকলে তিন থেকে চার ঘন্টার মধ্যে বমি ভাব শুরু হতে থাকে এবং ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। আর এই সমস্যাগুলো সাধারণত দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী থাকতে পারে।
ভিটামিন সি ও জিংক খেলে কি ওজন বাড়ে?
জিংক যেহেতু ওজন বৃদ্ধির ঔষধ নয় সেহেতু জিংক খেলে ওজন বাড়ে না। তাছাড়াও ভিটামিন সি খেলেও ওজন বাড়ানো সম্ভব নয় বরং ভিটামিন সি খেলে ওজন কমানো যায়।
সর্বশেষ কথাঃ জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়
সবদিক বিবেচনায় বলা যায়, জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে, তবে তা সরাসরি মোটা হওয়ার কোনো ওষুধ নয়। এটি মূলত শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে, হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে এবং ক্ষুধা লাগার পরিমাণ বাড়ায়, যার মাধ্যমে কেউ কেউ ধীরে ধীরে ওজন বাড়াতে পারে।
তবে সবকিছুর মতোই, এটি অতিরিক্ত সেবন বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ শরীরে অতিরিক্ত জিংকের উপস্থিতি কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়াও তৈরি করতে পারে।
তাই যেকোনো খাদ্য বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে নিজের শরীরের চাহিদা, বর্তমান শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পুষ্টি ও নিয়মিত জীবনযাপনের মাধ্যমেই স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়ানো সম্ভব।